স্বাস্থ্য
দেশে এখন
0

সারাদেশে এক দফা দাবিতে নার্সদের ৩ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন

এক দফা দাবিতে সারা দেশে ৩ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করছেন সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতলের নার্সরা। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এবং কাউন্সিল থেকে সব ক্যাডারদের প্রত্যাহার করে অভিজ্ঞ নার্সদের পদায়নের দাবি তাদের। না মানা হলে আগামীকালও সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পালন করা হবে কর্মবিরতির। এদিকে তাদের এই কর্মসূচিতে ব্যাহত হয় হাসপাতালের নির্ধারিত কাজ ও সাধারণ রোগীদের সেবা। তবে কর্মবিরতির বাইরে ছিলো হাসপাতালগুলোর জরুরি সেবা।

গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সকল ক্যাডার কর্মকর্তাদের অপসারণ করে নার্সিং কর্মকর্তাদের পদায়নের দাবি জানাচ্ছিলেন নার্সরা। সোমবার যা রূপ নেয় আন্দোলনে।

সারাদেশের মতো আজ (মঙ্গলবার,১ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মবিরতি পালন করেন নার্সরা। এতে অনেকটা স্থবির হাসাপাতালে ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা।

তবে জরুরি বিভাগ, ডায়লসিস, আইসিইউ, সিসিইউ, ইমারজেন্সি ওটিসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের সেবায় ছিল নার্সদের ইমারজেন্সি স্কোয়াড।

আন্দোলনকারী নার্সদের মধ্যে একজন জানান, মুমূর্ষু রোগী যারা আছে তারা অবশ্যই সেবা পাবে। তাদের সেবা দেয়ার জন্য কিছু কিছু নার্স আমরা ওয়ার্ডে রেখে দিয়েছি। আমরা কর্মবিরতিতে যেতে ইচ্ছুক না। আমরা চাই আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ হোক।

উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার পরেও আমাদেরকে ন্যায্য পথ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলেও জানান একজন নার্স।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২য় দিনের মতো কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহীর সরকারি-বেসরকারি নার্সিং কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্সরা। এক দফা দাবিতে তিন ঘণ্টার কর্মবিরতির পাশাপাশি সমাবেশও করেন তারা। এসময় নার্সদের মধ্যেই অনেক যোগ্য ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের প্রশাসনের দায়িত্বে বসানোর দাবি জানান তারা।

একই সময় ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে সামনে অবস্থান নেন জেলার নার্স ও মিডওআইফারিতে কর্মরতরা।

নার্সদের মধ্যে আরও একজন বলেন, 'নার্সদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন।'

পরে বুধবারও সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন তারা। এসময় দ্রুত দাবি মেনে নেয়া না হলে সারাদেশে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

এফএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর