জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আসে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। সমাবেশ শেষে দ্রুত বিচারের দাবিতে মিছিল শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তাদের সঙ্গে সংহতি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও উপাচার্য।
নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে রোববার সকাল থেকেই অপরাজেয় বাংলার সামনে জড়ো হতে শুরু করেন ছাত্র-শিক্ষকরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ে আইনের আওতায় আনতে হবে, নিশ্চিত করতে হবে বিচার।
৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো হত্যার কারণ জানা যায়নি। সেইসঙ্গে পরিকল্পনাকারীরা রয়েছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। যদিও এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো তিনজনকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি মূল আসামিসহ বাকিদের।
শিক্ষার্থীদের দেয়া ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের মধ্যেই সাম্য হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা পৌঁছান শাহবাগ থানার সামনে। এসময় তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও উপাচার্য। বৈঠকে বসেন প্রশাসনের সঙ্গে।
তারা অভিযোগ করেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান কথা থাকলেও এখনো কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আসে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পক্ষ থেকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘আমাদের অনুষদগুলোর ডিনদের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলাদলির ঊর্ধ্বে উঠে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে করতে আমাদের দিক থেকে যা করণীয় তা আমরা করবো।’
এসময় আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সাম্য হত্যায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তার পরিবার।
সাম্যের বড় ভাই বলেন, ‘আজ ৫ দিন হয়ে গেল। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে এত সময় লাগার কথা নয়। পুলিশ প্রশাসনের যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে আশপাশের বিভিন্ন জায়গার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্ত করা খুব বেশি সময়ের ব্যাপার না।’
এদিকে সাম্য হত্যায় আজ আরো এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে গ্রেপ্তার হলো ৪ জন।