প্রবাস
দেশে এখন
0

মালয়েশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর দাবি প্রবাসীদের

মধ্যপ্রাচ্যের পর বাংলাদেশের বড় শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে কর্মরত প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি। সাধারণ কর্মী ভিসার ক্যাটাগরিতে অন্যান্য দেশের কর্মীরা মাল্টিপল ভিসা পেলেও বাংলাদেশিরা পান সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা। এই বৈষম্যের সমাধানে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর দাবি প্রবাসীদের।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ২৩ লাখেরও বেশি বৈধ সাধারণ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে মালয়েশিয়ায়। যার প্রায় অর্ধেকই বাংলাদেশি শ্রমিক। দেশটির পাঁচটি কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ খাতে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন বাংলাদেশিরা।

অন্যান্য দেশের কর্মীরা মাল্টিপল ভিসা পেলেও বাংলাদেশিদের জন্য আছে শুধু সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা। এতে বছরে একবারের বেশি দেশে ফিরতে হলে প্রয়োজন হয় আলাদা অনুমতির। এতে করে গুণতে হয় আলাদা ইমিগ্রেশন ফি। মালয় সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বৈষম্যের নিরসন চেয়ে হাইকমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছেন প্রবাসীরা।

প্রবাসীদের মধ্যে একজন জানান, 'ভারত, পাকিস্তান অন্যান্য দেশে যখন মাল্টিপল ভিসা পায়। সেখানে আমরা বাংলাদেশি প্রবাসীরা কেন বৈষ্যমের শিকার হবো!'

প্রবাসীদের মধ্যে আরো একজন জানান, কখনোই দেখি নাই আমি মাঠ পর্যায় যেয়ে হাই কমিশন খোঁজ খবর নিছে শ্রমিকের কি অবস্থা বা কি করছে।

হাইকমিশনের মূল চত্বরের প্রবেশপথে বাধার মুখে পড়েন প্রবাসীরা। নানা নাটকীয়তার ৪ ঘণ্টা পর স্মারকলিপি গ্রহণ করলেও কোনো কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে দেখা করেননি।

নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীরসহ শ্রম উইংয়ের কর্মকর্তা সুমন দাসের অপসারণের দাবি জানান প্রবাসীরা।

প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আরও ১০টি দাবি স্মারকলিপিতে উত্থাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।