দেশে এখন
0

দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক পেলেন নৌবাহিনীর ২০০ সদস্য

দক্ষিণ সুদানের জুবাতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনী ফোর্স মেরিন ইউনিট (ব্যানএফএমইউ-৯) এর ২০০ জন সদস্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদকে ভূষিত হয়েছেন। এ উপলক্ষ্যে গতকাল (মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর) জুবাতে ব্যানএফএমইউ-৯ কন্টিনজেন্টের মেডেল প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড নেশন্স মিশন ইন সাউথ সুদানের (আনমিস) ফোর্স কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহান সুব্রামানিয়াম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকসহ ২০০ জন নৌ সদস্যকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মেডেল প্রদান করেন।

মেডেল প্যারেড অনুষ্ঠানে ফোর্স কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুব্রামানিয়াম দক্ষিণ সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। নীল নদের প্রতিকূল পরিবেশ এবং সংঘাতপূর্ণ এলাকায় অত্যন্ত সাহসিকতা এবং দক্ষতার সাথে অপারেশন পরিচালনার মাধ্যমে জাতিসংঘের জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্য এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পণ্যসমূহ পরিবহণে বাংলাদেশ নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট অসামান্য অবদান রাখছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট নদী পথে নিয়মিত টহল পরিচালনা, রেকি অপারেশন, উদ্ধার অভিযান, ডাইভিং অপারেশন এবং দক্ষিণ সুদানে নিয়োজিত জাতিসংঘের সকল সংস্থাকে নদীপথে পরিবহণ ও নিরাপত্তা প্রদানের মতো মহান দায়িত্ব প্রশংসনীয়ভাবে পালন করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা প্রদানের জন্য সুব্রামানিয়াম বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। দক্ষিণ সুদানে আনমিসের একমাত্র মেরিন ফোর্স হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফোর্স মেরিন ইউনিট নীল নদের বিস্তৃত অঞ্চলে. জাতিসংঘের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে নিয়োজিত রয়েছে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট নীল নদের দীর্ঘ ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে ৫০টি লজিস্টিক অপারেশন্স (অপারেশন লাইফ লাইন) সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। মোতায়েনের পর থেকেই বাংলাদেশ নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট দক্ষিণ সুদান সরকার এবং জনগণের উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রেখে আসছে।—আইএসপিআর

এসএস