আজ (বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির প্রশিক্ষণের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। জানান, জনগণের সুবিধার্থে এবং অন্যান্য বাহিনীর স্বল্পতা পূরণের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীতে যে ঘাটতি বা স্বল্পতা রয়েছে- সেই স্বল্পতা পূরণের জন্যই কাজ করবে সেনাবাহিনী।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, 'আপনারা দেখছেন সেনাবাহিনীরা অনেকদিন ধরেই মাঠে আছে। তাদের তো একটা ক্ষমতার মধ্যে কাজ করতে হবে। এছাড়াও আমাদের অন্যান্য বাহিনীর স্বল্পতা আছে এটা পূরণ করার জন্যই সেনাবাহিনী আমরা এনেছি। এই যে ম্যাজিস্ট্রিয়াল পাওয়ার এটা ভোগ করবে বাংলার জনগণ।'
আরও আগেই এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা উচিত ছিল বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী। আর সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পাওয়ায় জনসাধারণের সাথে সাংঘর্ষিক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। একইসাথে ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় সেদিকে সেনাবাহিনী এবং রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিদের সর্তক দৃষ্টি রাখার আহ্বানও জানান এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক।
মধ্য জুলাইয়ের পর থেকেই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে আছে সেনাবাহিনী। ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়েন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এসময় থেকে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করে আসছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার দেড়মাস পর গতকাল (মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীসহ সারাদেশে সেনাবাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয় সরকার। আগামী ৬০ দিনের জন্য সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ ক্ষমতা পাচ্ছেন।
আগামী দু'মাস সেনাবাহিনী গ্রেফতার, জামিন, তল্লাশি, গ্রেফতারি পরোয়ানি জারি ও বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গসহ দেশের স্বার্থে বেশ কিছু ক্ষমতাপ্রাপ্ত পেলো।