দেশে এখন
0

রাত নামলেই রাজধানীতে চুরি-ছিনতাইয়ের আতঙ্ক

রাত নামলেই রাজধানীতে চুরি-ছিনতাইয়ের আতঙ্ক। শারীরিক হেনস্তা ও আঘাতের পাশাপাশি ছিনতাইকে কেন্দ্র করে প্রাণনাশের ঘটনাও রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে গড়িমসি নয়; নিরাপত্তা জোরদারসহ অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দাবি ভুক্তভোগীদের।

পৌষের মাঝামাঝি ঘন কুয়াশার খেলায় যে দুর্ভেদ্য তৈরি হয়, অতি নিকটও হয়ে ওঠে অস্পষ্ট, রহস্যঘেরা কখনোবা আতঙ্কে মোড়া তখনও কিছু মানুষকে দেখা যায় জীবিকার তাগিদে রাজপথে বা ফুটপাথে।

রাজধানীর মধুবাগের কাজী নজরুল ইসলাম তাদেরই একজন। পেশায় অটোরিকশা চালক, গভীর রাতে হাতিরঝিলের ফুটপাত ধরে যখন হাঁটছিলেন তখন কথার ভাঁজে বলছিলেন, কীভাবে ছিনতাইকারীরা হাত-পা বেঁধে তার অটোরিকশা নিয়ে যায়।

কাজী নজরুল বলেন, ‘সিএনজি গেট খুলে আমারে সিএনজির ভিতর তুলছে। এরপর চোখ হাত বেঁধে আমাকে ফ্লাইওভারে ফেলে দিয়ে যায়।’

সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীতে রাতে ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় জনমানুষে যেমন আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে তেমনি কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে রাতভর সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল ও তল্লাশি। সেনাবাহিনীর টহল চোখে পড়লেও পুলিশের তৎপরতা তেমন লক্ষ্য করা যায়নি।

এমন পরিস্থিতি নিয়ে পথচারী, রিকশা কিংবা সিএনজি চালকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও রাতের জীবিকার আয়োজনে তাদের তাড়া করে বেড়ায় ছিনতাই আতঙ্ক।

রিকশা চালকদের একজন বলেন, ‘মেইনরোডে রিকশা থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়।’

রাতের নগরী দীর্ঘদিন ধরে যাদের আহার এনে দেয় সেই মানুষগুলোর অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা নিয়ে। বলছেন শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা বাহিনীগুলোর ঢিলেঢালা ভাব তাদের অনিরাপদ করে তুলছে।

সিএনজি চালকদের একজন বলেন, ‘আগে পুলিশ টহল ছিল ৫ তারিখে পর থেকে পুলিশ টহল কমে গিয়েছে।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়িয়ে, দুষ্কৃতকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় নিয়ে আসলেই রাতের নগরী নিরাপদ হয়ে উঠবে বলে মত জনসাধারণের।

ইএ