রাষ্ট্রযন্ত্রের দমনের মুখেও তীব্র আন্দোলন, জীবন বিলিয়ে দেয়া। ফলে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাধ্যমে রচিত হয় নতুন ইতিহাস এবং ছাত্রজনতার সমর্থনে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। আজ (রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর) ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন একমাস পূর্ণ হলো এই সরকারের ।
গত ৮ আগষ্টে শপথ নেয়া অন্তর্বর্তী সরকার গেল একমাসে কি করলো আর কি করতে পারতো এ নিয়ে দুপুরে রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ে আলোচনার আয়োজন করে আমার বাংলাদেশ- এবি পার্টি। যেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজপথে সোচ্চার থাকা দলগুলোর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনার শাসনামলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের যে দাবি ছিলো তা এখনো চলমান রয়েছে জানিয়ে সভায় বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত যতদ্রুত সম্ভব তাদের কার্যক্রমের রোডম্যাপ প্রকাশ করা।
বক্তাদের একজন বলেন, ‘আওয়ামী সরকারে মতো আগামী নির্বাচনে কেউ এমন চরিত্র হতে চায় তাহলে বাংলার জনগণ রুখে দিবে।’
আরেকজন বক্তা বলেন, ‘এই সরকার আমাদের ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছে।’
আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আশা প্রকাশ করেন, জনগণের আকাঙ্খা পূরণে কাজ করবে অন্তর্বর্তী সরকার। মানুষের চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব না দিলে রাজনৈতিক দলগুলোকে জীবিত রাখা যাবেনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আমির খসরু বলেন, ‘৩৫ বছরের নিচে যারা আছে তাদের চিন্তা ভাবনা কি। তারা কি ভাবছে? তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের বুঝতে হবে।’
এবি পার্টির আমন্ত্রণে আলোচনায় অংশ নেয় ১৮টি রাজনৈতিক দল। তাদের সবাই অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন।