প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে চলমান বন্যা পরিস্থিতি ও পাহাড়ি ঢলের বিষয়ে আগে থেকে বাংলাদেশকে তথ্য দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করছে ভারত।
সোমবার ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিবেশি দুই রাজ্যে বন্যার জেরে পানির চাপ পড়েছে। তবে এখনও নেপাল থেকে পাহাড়ি ঢল নামেনি বলে জানান যায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ জানিয়েছে, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ায় ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের পানির স্তর বেড়েছে। যে কারণে পানির চাপ সামলাতে ফারাক্কা বাঁধের দরজা খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে একদিনে বাংলাদেশে ১১ লাখ কিউসেক পানি প্রবেশ করবে।
ফারাক্কা ব্যারাজ এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭৭.৩৪ মিটার ওপর দিয়ে বইতে থাকায় বাধ্য হয়ে গেট খুলতে হয়েছে বলে জানায় বাঁধ কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ফিডার ক্যানেলেও পানির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
ভারতের দাবি, ধারণক্ষমতার চেয়ে পানি বেশি হওয়ায় বাঁধ খুলে দিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। কর্মকর্তারা বলেছেন, পানি না ছাড়া হলে ফারাক্কা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে এর ভিন্ন চিত্র দেখা যেতে পারে বাংলাদেশে। চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে ফেনী, নোয়াখালীসহ অন্তত ১১ জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ার ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।