প্রবাস
দেশে এখন
0

বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী মালয়েশিয়া প্রবাসীরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে রেমিট্যান্স শাটডাউনে যুক্ত হন প্রবাসীরা। ফলাফল গেলো জুলাইয়ে ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স আসে বাংলাদেশে। তবে, আশার কথা হলো দেশ গঠনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী মালয়েশিয়া প্রবাসীরা।

চলতি বছরের জুনে তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫৪ কোটি ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠানো হয় বাংলাদেশে। জুলাইয়ের শুরুতেও এ ধারা অব্যাহত ছিল। তবে, মাস শেষে জুনের তুলনায় রেমিট্যান্স নেমে যায় প্রায় ২৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, জুলাইয়ে রেমিট্যান্স পাঠানোর হার ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগস্টের প্রথম তিন দিনে রেমিট্যান্স যায় সাড়ে ৯ কোটি ডলার । এর পরের তিনদিন স্থবির ছিল ব্যাংকিং কার্যক্রম । সরকার পতনের পর ১০ আগস্ট পর্যন্ত তিনদিনে মোট রেমিট্যান্স গেছে ৩৮ কোটি ডলার।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ রাখেন প্রবাসীরা। যা পরিচিতি পায় রেমিট্যান্স শাটডাউন হিসেবে। তবে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশ গঠনে হাত বাড়িয়েছেন মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

একজন প্রবাসী বলেন, 'আমি প্রায় দুই বছর পর ব্যাংকে আসছি টাকা পাঠাতে। আমাদের দেশের সরকার পরিবর্তন হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আমি এখন থেকে ব্যাংকেই টাকা পাঠাবো। আর কোনোদিন বিকাশ বা হুন্ডিতে টাকা পাঠাবো না। টাকাটা ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠালে আমার দেশের উন্নতি হবে।'

বৈষম্যহীন বাংলাদেশ ও অর্থনীতির পুনর্গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণে প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রবাসীরা । আইনের সুশাসন, প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধ, অভিবাসন ব্যয় কমানো ও প্রবাসে ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের প্রতি আহ্বানও জানান তারা।

একজন প্রবাসী বলেন, 'এয়ারপোর্টে অনেক ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হতো। সেই ভোগান্তিগুলো অবিলম্বেই যেন সমাধান হয়। দেশে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে তা ফিরিয়ে আনবো।'

সরকার পতনের পর কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশি অধ্যুষিত রেমিট্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে প্রবাসীদের উপচে পড়া ভিড়। টাকা পাচার রোধে হুন্ডিতে অর্থ না পাঠানোর আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টরা।

tech