প্রবাসী-আয়  

সরকার পতনের পর বেড়েছে বৈধপথে রেমিট্যান্স, শীর্ষে আমিরাতের প্রবাসীরা

সরকার পতনের পর বেড়েছে বৈধপথে রেমিট্যান্স, শীর্ষে আমিরাতের প্রবাসীরা

ক্ষমতার পালাবদলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর থেকেই দেশে বেড়েছে বৈধপথে রেমিট্যান্সের প্রবাহ। চলতি মাসের প্রথম ১৭ দিনে দেশে এসেছে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। বৈধভাবে বৈদেশিক রাজস্ব পাঠানোতে শীর্ষে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশি প্রবাসীরা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রবাসীদের জন্য কার্যকরভাবে সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে বলে মত তাদের।

এক সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৫ কোটি ১৪ লাখ ডলার

এক সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৫ কোটি ১৪ লাখ ডলার

চলতি আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে রেমিট্যান্স আসা থমকে গেলেও শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর জোয়ার আসতে শুরু করেছে। আগস্টের প্রথম ১৭ দিনে দেশে বৈধ পথে ১১৩ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে শুধু ১১ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সাতদিনে এসেছে ৬৫ কোটি ১৪ লাখ ডলার। যা প্রতি ডলার ১১৮ টাকা হিসাবে দাঁড়ায় ৭ হাজার ৬৮৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী মালয়েশিয়া প্রবাসীরা

বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী মালয়েশিয়া প্রবাসীরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে রেমিট্যান্স শাটডাউনে যুক্ত হন প্রবাসীরা। ফলাফল গেলো জুলাইয়ে ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স আসে বাংলাদেশে। তবে, আশার কথা হলো দেশ গঠনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী মালয়েশিয়া প্রবাসীরা।

প্রবাসী আয় বাড়লেও স্থানীয় বিনিয়োগে অবদান যৎসামান্য

প্রবাসী আয় বাড়লেও স্থানীয় বিনিয়োগে অবদান যৎসামান্য

প্রবাসী আয় দেশের আর্থ-সামাজিক বিকাশের অনুঘটক। তাই গত ৫ দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রবাসী আয় মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। সময়ের পালাবদলে প্রতিনিয়তই বাড়ছে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ। কিন্তু আনুপাতিক হারে কি স্থানীয় বিনিয়োগে এই খাতের অবদান বেড়েছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবাসী আয়ের বিনিয়োগ স্থানীয়ভাবে এখনও আশানুরূপ নয়। ফলে দেশের অঞ্চলভিত্তিক প্রবৃদ্ধি ও শ্রমবাজারে পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব।

জুলাইয়ে ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স

জুলাইয়ে ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স

হঠাৎ করেই জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রবাহ কমে প্রবাসী আয়ে। প্রথম ২৭ দিনে রেমিট্যান্স আসে ১৫৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। পরে মাসের শেষ চার দিনে তা অনেকটাই বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৯১ কোটি ডলার। এরপরও তা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আমদানি-রপ্তানির ঘাটতি পূরণ করা এই প্রবাসী আয় কমায় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর তাই সমস্যা সমাধানে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

বছরশেষে তাক লাগানো রেমিট্যান্স; ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এসেছে ২৩.৯১ বিলিয়ন ডলার

বছরশেষে তাক লাগানো রেমিট্যান্স; ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এসেছে ২৩.৯১ বিলিয়ন ডলার

সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে তাক লাগানো রেমিট্যান্স এসেছে। এই সময়ে প্রবাসীরা দেশে ২৩.৯১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা সবশেষ তিন অর্থবছরে সর্বোচ্চ।

মে মাসের ২৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭৯ কোটি ডলার

মে মাসের ২৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭৯ কোটি ডলার

মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ১৭৮ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। গেল কয়েক মাসের চেয়ে মে মাসে তুলনামূলক রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে বলে হিসেবে দেখা গেছে।

মালয়েশিয়ার খামারে নানা প্রজাতির পশু, কাজ করছেন বাংলাদেশিরা

মালয়েশিয়ার খামারে নানা প্রজাতির পশু, কাজ করছেন বাংলাদেশিরা

প্রায় ৬৫ শতাংশ মুসলিম ধর্মাবলম্বীর দেশ মালয়েশিয়ার বিভিন্ন খামারে নানা প্রজাতির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। ঈদকে ঘিরে স্থানীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশি মালিকানাধীন খামারেও পশুর বাড়তি যত্ন নেওয়া হচ্ছে। চাহিদা বিবেচনায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকেও গরু আমদানি করা হয়েছে। এসব খামারে কাজের সুযোগ হয়েছে স্থানীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশিসহ বিদেশিদের।

দক্ষ কর্মী তৈরিতে পুরনো যন্ত্র, কর্মহীন অনেক প্রবাসী

দক্ষ কর্মী তৈরিতে পুরনো যন্ত্র, কর্মহীন অনেক প্রবাসী

প্রশিক্ষণ ছাড়া বিদেশ গিয়ে কর্মহীন থাকা কিংবা কাঙ্ক্ষিত কাজের সন্ধান না পাওয়ার খবর নতুন নয়। পর্যাপ্ত দক্ষতার অভাবে প্রবাসে বাংলাদেশি কর্মীদের একটা বড় অংশ পড়েন নানা সংকটে। কিন্তু তাদের প্রশিক্ষিত করে তোলার প্রশিক্ষণ সেন্টারগুলোই অনেকটা পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে চলছে। প্রশিক্ষণার্থী টানতেও অনেকটা ব্যর্থ তারা।

অভিবাসন ব্যয়ের বিপরীতে প্রবাসী আয় কম

অভিবাসন ব্যয়ের বিপরীতে প্রবাসী আয় কম

সরকার নির্ধারিত খরচে বাংলাদেশি কর্মীদের বিদেশ পাড়ি দেয়া অনেকটা স্বপ্নের মতো। কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে তা যেন ফিকে হয়ে যায়। পরিসংখ্যান বলছে, একজন বাংলাদেশিকে বিদেশ পাড়ি দিতে গড়ে খরচ করতে হয় ৪ লাখেরও বেশি টাকা। অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়তি ব্যয় কমাতে রিক্রুটিং ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজন কঠোর নজরদারি। এদিকে, জিটুজি চুক্তি মেনে অভিবাসন ব্যয় কমানোর আশ্বাস প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর।