আজহার হোসেন নামের এক ব্যক্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নরসিংদী থেকে এসেছেন ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৷ ৫ দিন যাবত সেখানে ভর্তি আছেন। জ্বর, বমি, শরীর ব্যাথার সাথে আছে শ্বাসকষ্ট। আজহারের মতো রাজধানীর আশপাশ থেকে এসেছেন অনেক রোগী। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় জেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩ থেকে ৪ দিন ভর্তি থাকার পর স্থানীয় চিকিৎসকরা ঢাকা আসার পরামর্শ দেন।
আজহার বলেন, 'ভর্তি হওয়ার আগে থেকেই বমি আর অনেক শরীর ব্যাথা। মাঝে মাঝে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।'
এক সময় ডেঙ্গুর উপসর্গ জ্বর, ঠান্ডা হলেও এখন যেকোন শারীরিক অসুস্থতাই হতে পারে এ রোগের কারণ।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত আজহার হোসেন। ছবি: এখন টিভি
প্রতিনিয়ত উপসর্গের চেহারা বদলানোকে চিকিৎসার ভাষায় বলা হয় পটিয়ান। ডেঙ্গুর কারণ হতে পারে এমন সব উপসর্গ যার সাথে ডেঙ্গুর কোন সম্পৃক্ততা নেই।
মুগদা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, 'ডেঙ্গুর এখনের উপসর্গকে বলে পটিয়ান। যেটার সঙ্গে ডেঙ্গুর সরাসরি কোন লিংক নাই। কেউ ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে দেখা যায় উনি ডেঙ্গু আক্রান্ত। আর ডেঙ্গু এখন শুধু শহরে সীমাবদ্ধ নেই। গ্রাম পর্যায়েও চলে গেছে।'
মুগদা হাসপাতাল এবং অন্যান্য হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী ডেঙ্গু আক্রান্তে শিশুদের ঝুঁকি বেশি থাকলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে বড়দের সংখ্যা।
একটি ডেঙ্গু ভাইরাসবাহী এডিস মশা তার দুই সপ্তাহের জীবনে একাধিক ব্যক্তিকে কামড়াতে পারে। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার উৎপত্তিস্থল কমাতে কাজের সমন্বয় বাড়ানোর আহ্বান চিকিৎসকদের।