গতকাল (শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল) চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে এ উপলক্ষে অংশীজন এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ‘আমার চোখ আমার আলো’ পাইলট প্রকল্পের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয় তুলে ধরা হয়।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সিপিপির পরিচালক আহমাদুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাইদুর রহমান।
এ সময় বক্তারা বলেন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টার, আদ-দ্বীন হাসপাতাল, ডাটা ইয়াকা ও ডা. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগে এ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। ভোলার প্রান্তিক পর্যায়ের ১০ হাজার মানুষকে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ইতোমধ্যে সাড়ে ৮ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে এ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৪ হাজার ৬০০ মানুষের মাঝে চশমা বিতরণ করা হয়েছে এবং ৩ হাজারের বেশি চোখের ছানি অপারেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
যেসব রোগীদের চোখের সমস্যা জটিল তাদের চিকিৎসার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ধরনের সমন্বিত উদ্যোগ প্রান্তিক জনগণের জন্য একটি নতুন আশার দিগন্ত উন্মোচন করেছে। একই সঙ্গে চোখের যত্ন নেওয়ার আহ্বানও জানান তারা।