দেশে এখন
0

গতবারের চেয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেশি হতে পারে

তীব্র তাপপ্রবাহের পর থেমে থেমে বৃষ্টি আবহাওয়ায় বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেশি। কেবল জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি নয় পরিবর্তন এসেছে ডেঙ্গু উপসর্গেও।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ওয়ার্ড নং-৪৮ এর জিরানীখাল। প্রতিবছর এক থেকে দু বার খালটি পরিষ্কার করা হলেও খালের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে তা বোঝার উপায় নেই।

চারপাশের বাসাবাড়িতে মশার উৎপাত এতটাই বেশি কয়েল বা ওষুধ দিলেও মশা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। খাল পরিষ্কার করে সংরক্ষণ বা খাল ভরাট করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে সিটি করপোরেশন এমনটাই চাওয়া তাদের।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, 'এই খালে ময়লা ফেলায় ময়লা থেকেই মশা হয়। এই খাল না থাকলে তো মশা হবে না।'

আরেকজন বলরন, 'কয়েল তিন থেকে ৪ টা জ্বালালেও মশা যায় না।'

এদিকে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সাথে কথা বলে জানা যায় এই খাল ৬৩ এবং ৪৮ দুই ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত।

যাত্রাবাড়ী ওয়ার্ড ৪৮ এর কাউন্সিলর আব্দুল কালাম বলেন, 'দুই ওয়ার্ড থেকেই সপ্তাহে ৩ দিন করে মশার ওষুধ দেয়া হয়। পরিষ্কার কর্মসূচি জোন অফিসের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ভাবে করা হয়।'

২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে সব রেকর্ড ভাঙে ডেঙ্গু। কিন্তু এবছর ডেঙ্গুর প্রকোপ মৌসুমের আগেই শুরু হওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ।

রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে গত বছর এপ্রিল মাসে ডেঙ্গু রোগী ছিল ৭৬ জন, এবছর এপ্রিলে সেটা বেড়ে আক্রান্তের সংখ্যা হয় ২১৫ জন। চলতি মাসে এই পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ১৮৯ জন।

হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে রোগীর ভর্তির সংখ্যা ১২ জন। বড়দের তুলনায় ছোটরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। গতকাল ১৩ জন রোগী ভর্তি থাকলেও ১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

একজন ডেঙ্গু রোগী বলেন, 'জ্বর বমি এই গুলা নিয়ে এখানে ভর্তি হয়েছিলাম। আপাতত এখন ভালো আছি।'

জ্বর,ঠান্ডা কাশি নয় পরিবর্তন এসেছে ডেঙ্গু উপসর্গেও। শরীর ব্যাথা,বমি,পাতলা পায়খানা সহ আরও নানা শারীরিক অস্বস্তির কারণ হতে পারে ডেঙ্গু।

মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, 'আপনার আশেপাশ, আঙিনা, লিফট এইসব জায়গা নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার রাখুন। সবাইকে সচেতন হতে হবে। আর ডেঙ্গুর উপসর্গ বদলে গিয়েছে এখন আগের মতো নেই।'

যেকোন উপসর্গ বা শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলেই ফার্মেসিতে গিয়ে নিজে নিজে ওষুধ না সেবন করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা আশংকাজনক হারে বাড়ছে। চিকিৎসকরা বলছেন ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে নিজেদের সচেতনতার পাশাপাশি এডিস মশা কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে সিটি করপোরেশনের। মশা না কমলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমবে না বলেও জানান তারা।

ইএ