২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু
গেল ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে সারাদেশে ৩৪৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
অক্টোবরেও হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চাপ কমেনি
অক্টোবরের শেষেও হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ কমছে না। এ সময় ডেঙ্গু উপসর্গের সাথে শীতজনিত রোগ যুক্ত হওয়ায় বাড়ছে শারীরিক জটিলতা। চিকিৎসকরা বলছেন, মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে জ্বর হলেই অবহেলা না করেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এছাড়া রোগীর সাথে হাসপাতালে আসা স্বজনদেরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ তাদের।
অক্টোবরে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ
রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে অক্টোবরের মাঝামাঝিতেই সেপ্টেম্বরের চেয়ে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ফলে একদিকে সিট সংকট অন্যদিকে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে তাই হিমশিম অবস্থা চিকিৎসক এবং নার্সদের। শক সিনড্রোমে গিয়ে আইসিইউতে ভর্তি রোগীদেরই মৃত্যু বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে যেন আভাস মিলছে অক্টোবরে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতির।
ডেঙ্গুতে আরো ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২২১
বেড়েই চলছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এডিস মশা জনিত রোগে শুধু শনিবারই মারা গেছেন ৮ জন রোগী। যা কিনা চলতি বছর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। একইসঙ্গে এসময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১ হাজার ২২১ জন। প্রচণ্ড জ্বর, ব্যথা কিংবা শরীর ব্যথা, বমি, রক্তক্ষরণের মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
সাপোর্ট ছাড়া ডেঙ্গু রোগী ঢাকায় স্থানান্তর, বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি
ফ্লুইড সাপোর্ট ছাড়া ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী রেফার্ড করার কারণে শক সিন্ড্রোমে চলে গিয়ে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে রোগীদের। এদিকে, ঢাকার বাইরের রোগীর চাপে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসকদের। কোনো হাসপাতালেই সিট খালি নেই। জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসা ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধ্ব পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু বাড়ার শঙ্কা
স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। গবেষকরা বলছেন, সংক্রমণ রোধে ডেঙ্গুর হটস্পটগুলো চিহ্নিত করতে হবে। না হলে অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধ্ব পর্যন্ত ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়ার পাশাপাশি বাড়বে মৃত্যু। অন্যদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো বলছে, হাসপাতাল থেকে যথাযথ তথ্য না পাওয়ায় হটস্পট চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
ডেঙ্গুর বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক নিজেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত
ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা করাতে আসা স্বজনরাও আক্রান্ত হচ্ছেন ডেঙ্গুতে। রাজধানীর বিশেষায়িত হাসপাতাল মুগদা হাসপাতালে বেড়েছে মশার উপদ্রব। মশা নিধনে নেই কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা। হাসপাতালটির পরিচালকও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। এদিকে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বায়োহাজার্ড পলিথিনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনাকাটা শুরু না হওয়ায় ডেঙ্গুর ভরা মৌসুমেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
মুগদা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী বেড়ে দ্বিগুণ
১৫ দিন আগের তুলনায় রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে দ্বিগুণ। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) হাসপাতালটিতে ১১৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। রোগী সামলাতে মুগদা মেডিকেলে খোলা হয়েছে নতুন একটি ওয়ার্ড। রোগী বাড়লে, আরও ওয়ার্ড প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জেলা-উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত বেশি, ১শ' জনে মৃত্যু একজনের
এবার ঢাকায় তুলনামূলক কম আক্রান্ত হলেও জেলা-উপজেলা থেকে বেশি আসছে ডেঙ্গু রোগী। তবে আশঙ্কার কথা হচ্ছে- এবার প্রতি ১০০ ডেঙ্গুর রোগীর মধ্যে প্রাণ হারাচ্ছেন একজন, যা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ। গেলবার ভয়াবহতা বাড়িয়েছিল ডেন-টু ধরন, তবে চলতি বছর এই ধরনের ঢাকায় বিস্তার না ঘটলেও ডেঙ্গুর বাকি তিন ধরনের একটি ছড়িয়ে পড়লেই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে শঙ্কা গবেষকদের।
এক যুগে মশা মারতে খরচ ১২শ' কোটি টাকা!
রাজধানীতে বেড়েছে মশার উৎপাত। এর সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সিটি করপোরেশনের মশক নিধন ব্যয়। গত ১২ বছরে ঢাকার মশা মারার আয়োজনে খরচ হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আইন করে মশা নিধনে ফগিং নিষিদ্ধসহ কীটনাশক প্রয়োগে অনুৎসাহিত করলেও, বাংলাদেশের চিত্র ভিন্ন। বিশেষজ্ঞদের মত, বিজ্ঞানভিত্তিক মশক নিধনে গুরুত্ব দেয়াসহ বছরজুড়েই চালাতে হবে কার্যক্রম।
দেশে দ্বিতীয় ধাপে ডেঙ্গু টিকার পরীক্ষা; আটকে আছে তৃতীয় ধাপ
অর্থ সংকটে থমকে আছে ডেঙ্গু টিকা উদ্ভাবনের অগ্রগতি। আইসিডিডিআরবি'র একটি টিকা বাংলাদেশে দ্বিতীয় ধাপে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেলেও তৃতীয় ধাপে এখনও পরীক্ষা চালানো যায়নি। এ অবস্থায় নানা জটিলতায় শিগগিরই মিলছে না প্রাণসংহারী ডেঙ্গুর টিকা।
ডেঙ্গু আক্রান্তের দুই-তৃতীয়াংশই ঢাকার বাইরের
টানা বৃষ্টির পরও ঢাকায় এডিস মশার উপদ্রব কিছুটা কম থাকলেও ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি ভিন্ন। জানুয়ারি থেকে পহেলা জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই ঢাকার বাইরের। অথচ গেলবছর এই সময় ঢাকায় আক্রান্ত রোগী ছিল প্রায় তিনগুণ।