আজ (সোমবার, ৬ মে) সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো আগুন নির্বাপণের কাজ শুরু হয়। এদিন সকাল ৬টা থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন বনবিভাগ, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফায়ার পাম্পের মাধ্যেমে রিলে সিস্টেম বজায় রেখে সুন্দরবন সংলগ্ন খাল হতে পানি নিয়ে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। তবে পাম্প বসানোর মতো কোন জায়গা না থাকায় নৌকায় পাম্প বসিয়ে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
গত শনিবার (৪ মে) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। রাতের অন্ধকারে আগুন নেভানোর কাজ বন্ধ ছিল। গতকাল রোববার সকালে আবারও আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।
আগুন নেভাতে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে পানি ফেলা হয়
জানা গেছে, শনিবার অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বন বিভাগের নিজস্ব জনবল ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট। তবে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারণে তারা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। এই আগুন যাতে বনের নতুন এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তারা।
সুন্দরবনে আগুনের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার এই এলাকায় আগুনের ঘটনা ঘটে। ২০২১ সালের ৫ মে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
এছাড়া ২০১৬ সালের ১৪ এপ্রিল পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশন এলাকার নাংলীতে আগুন লাগে। এর আগে ২৮ মার্চ একই এলাকায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল।