গত ২ এপ্রিল শাশুড়ির নাকফুল হারানোকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার জেরে শাশুড়ির গায়ে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় মেহেদুল ইসলাম।
এ ঘটনায় ছয় দিন পর সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে ঢাকার বার্ন ইউনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় শাশুড়ির মৃত্যু হয়। ঘটনার পরই শশুর আফজাল হোসেন বাদী হয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আজ (সোমবার, ২৮ এপ্রিল) দুপুরে বিরামপুর শহরের ধানহাটি মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত জামাইয়ের নাম মেহেদুল ইসলাম। সে উপজেলা হাবিবপুর এলাকার আজিবর রহমানের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পৌরশহরের পূর্বপাড়া মহল্লার আফজাল হোসেন ও বুলি বেগম দম্পতির মেয়ে শিল্পী বেগমের সাথে উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে মেহেদুলের প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে তিনটি সন্তান রয়েছে। জামাই মেহেদুল তার স্ত্রীর এক ভাইয়ের অটোরিকশা ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো।
সম্প্রতি সেই অটোরিকশা ভেঙ্গে ফেলে শ্বশুর বাড়িতে দিয়ে যায়। অটোরিকশা মালিক রিকশা মেরামত করে অন্য চালকের নিকট ভাড়া দিলে জামাইয়ের সঙ্গে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের মতবিরোধ দেখা দেয়।
এর মাঝেই ঘটনার রাতে শাশুড়ি টেবিলের উপর রাখা নাক ফুল হারানোর দোষ পড়ে জামাইয়ের উপর। বিষয়গুলো নিয়ে শাশুড়ির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জামাই।
পরের দিন বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জামাই মেহেদুল তার শাশুড়িকে মোবাইল ফোনে বাড়ির বাইরে পাকা রাস্তার ওপর ডেকে নিয়ে শাশুড়ি (৬০) গায়ে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসি তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। আগুনের ঘটনায় ওই নারীর সর্বাঙ্গ, অর্থাৎ মাথা ও মুখমণ্ডল ব্যতীত সর্ব শরীর ঝলসে যায়।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, শাশুড়ির গায়ে পেট্রোল দিয়ে আগুনের ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্বামী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আজ আটক করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাকে দিনাজপুর কারাগারে প্রেরণ করা হবে।





