বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।
ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার এবং ১৯ রাউন্ড গান স্যালুট দেওয়া হয়।
গত জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর এটিই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। সফরকালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কিছু সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করবে দেশ দু'টির প্রধান।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষে গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার অভিপ্রায়পত্রসহ বেশ কিছু সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করবে। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি, শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা রয়েছে।'
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ২৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাবেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
একই দিন শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এই সময় দুই নেতা নথি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন।
এ আগের দিন ২৫ এপ্রিল ইউএনএসক্যাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগদান করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তার ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। এদিন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
আগামী ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সংবাদ সূত্র- বাসস।