ঈদ যাত্রায় উত্তরাঞ্চলগামী মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ে। এ পথে চলাচলকারী যানবাহন ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের সুবিধা পেলেও গাড়ির গতি থমকে যাবে বঙ্গবন্ধু সেতু সংযোগ সড়কের দুই লেনে।
গেল বারের ঈদেও বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকার যানজট ঠেকেছিলো ৩৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। এবার ঈদ যাত্রার আগেও সেই ভয়াবহ স্মৃতি ভাবাচ্ছে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন চালক ও যাত্রীদের। তাদের দাবি, দুই লেনের বঙ্গবন্ধু সেতুতে দুর্ঘটনা, সেতুর পূর্বপাড়ের গোলচত্ত্বর থেকে ১৪ কিলোমিটারে অংশে নানা অব্যবস্থাপনা, টোল আদায়ে ধীরগতিসহ নানা কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টার ভোগান্তি পোহাতে হয় ঘরমুখো মানুষের।
চালকরা বলেন, প্রশাসন দিয়ে ঠিক মতো লাইন পরিষ্কার রাখলে আর সমস্যা হবে না। আমাদের ধৈর্যের কারণেই যানজটটা বেশি বাঁধে।
যাত্রীরা বলেন, যানজটে খুব খারাপ লাগে। যদি এর একটা ব্যবস্থা করা যায় তাহলে খুব ভালো হয়। ঈদে ব্যাপক জ্যামের সম্ভাবনা বেশি। কারণ অনেক লোক ঢাকা থেকে ঈদ করতে যাবে।
সাসেক-২ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যানজট নিরসনে বঙ্গবন্ধু সেতু সংযোগ সড়কের এলেঙ্গা প্রান্তের এক কিলোমিটার ও সেতু প্রান্তের তিন কিলোমিটারে চার লেনের সুবিধা দিতে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন শ্রমিকরা।
আব্দুল মোনায়েম লিমিটেডের প্রকল্প ম্যানেজার রবিউল ইসলাম বলেন, 'এলেঙ্গার সামনে থেকে ২ কিলোমিটার রাস্তা আমরা খুলে দেব। ডুবারচর থেকে বঙ্গবন্ধু ব্রিজ পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তা যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিবো।'
যানজট মুক্ত ও স্বস্তির ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ৭ শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি গতবারের দুর্বলতা চিহ্নিত করে নতুন নতুন উদ্যোগের কথা বলছেন টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। বলেন, 'ফায়ার সার্ভিস, সড়ক বিভাগ, বিবিএম সকলের সঙ্গেই সমন্বয়গুলো করে রেখেছি। আশা করি সবাই নির্বিঘ্নে যেতে পারবে।'
স্বাভাবিক সময়ে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হলেও ঈদে সে পরিমাণ বাড়ে প্রায় তিন গুণ। সেতুর উভয় প্রান্তে ১২ বুথে টোল আদায় করা হলেও ঈদে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেনসহ টোল আদায় করা হয় ১৮টি বুথে।