প্রকাশ্যে দিনরাত পালাক্রমে হাতে লাল পতাকা নিয়ে পৌরসভা খাজনা রশিদ দিয়ে এসব যানবাহনের চালকদের থামিয়ে চলছে এমন বেপরোয়া চাঁদাবাজি। আর চাঁদার টাকা না দিলে মারধর ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন চালকরা। আজ (শনিবার, ১৯ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে এমন চাঁদাবাজি হলেও তা দেখেও দেখছেন না স্থানীয় প্রশাসন। এতে ক্ষোভ-প্রকাশ করছেন এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী চালক ও তার সহকারীরা। যদিও মিরপুর পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী এসব যানবাহন থেকে চাঁদার টাকা আদায় করতে কাউকেই ইজারা দেওয়া হয়নি। যারা এ ধরনের কাজ করছে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতেও কাজ করছেন তারা।
এসব যানবাহনের চালক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, এ চাঁদাবাজির সাথে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালী এক নেতা। সবাইকে ম্যানেজ করে হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি চক্রকে দিয়ে তোলা হয় এই চাঁদার টাকা। আর টাকা না দিলে মারধরের শিকার হন চালকরা। তাই ভয়ে বাধ্য হয়ে এসব যানবাহনের চালকদের দিতে হচ্ছে ২০ টাকা থেকে ৩০টাকা।
কারো কারো কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকাও আদায় করছে এ চক্রটি। বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী ভুক্তভোগী চালক রেজাউল, মেহেদী, সোহেল রানা বলেন, ‘এ যেন মগের মুল্লুক। সড়ক দিয়ে চলাচল করলেই গুনতে হচ্ছে টাকা। এই মহাসড়ক দিয়ে যতবার যাব ততবারই ট্রলি প্রতি ৫০ থেকে ১শ টাকা দিতে হচ্ছে। অন্য যানবাহনগুলোকেও টাকা দিতে হচ্ছে। মহাসড়কে এমন চাঁদাবাজি বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। এতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
এ ব্যাপারে ইজারাদার হাফিজুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী এসব যানবাহন থেকে চাঁদার টাকা আদায় করতে পৌরসভা থেকে কাউকেই ইজারা দেওয়া হয়নি। এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান বলেন, ‘এমন কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’