বাজার
দেশে এখন
0

বাজারে খেজুরসহ ফলের দাম বাড়তি

রাজধানীতে খুচরা থেকে পাইকারি, সব ফলের বাজারেই কয়েকগুণ দাম বেড়েছে। খেজুর থেকে অন্যান্য ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কেজিপ্রতি বেড়েছে ২শ’ থেকে ৭শ’ টাকা। এদিকে সরকার নির্ধারিত দামেও সাধারণ ও জাইদি খেজুর বিক্রি হচ্ছে না।

রমজান মাসে খেজুরের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। সারাদিন রোজা রেখে খেজুরের মাধ্যমে ইফতার শুরু করেন মুসল্লিরা। তবে এবারও রোজা শুরুর আগেই খেজুরের দাম আকাশচুম্বী।

বাজারে এখন ৮ থেকে ১০ ধরনের বেশি খেজুর পাওয়া যাচ্ছে। বাংলা খেজুর, দাবাস, জাইদি, ডাল, মেডজুল, মারিয়াম, মাফরুম, আজোয়াসহ প্রায় সব খেজুরের দাম কেজি প্রতি ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা বেড়েছে।

খেজুর ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘পহেলা রমজানের আগে খেজুরের দাম একটু বেশি ছিল। সে সময় আমদানিও কম ছিল। এখন কিন্তু খেজুরের দাম কমতেছে।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে খুচরা বাজারে অতি সাধারণ খেজুরের কেজি প্রতি দাম ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা আর জাইদি খেজুরের দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে থাকতে হবে। তবে রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, অতি সাধারণ খেজুর সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হলেও জাইদি খেজুর ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বাজারের অন্যান্য ফলের দামের একই অবস্থা। সবচেয়ে নিয়ন্ত্রণহীন ডালিমের দাম। যে ডালিম বাদামতলীতে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, রাজধানীর খুচরা ও ভোক্তা পর্যায়ে তা বিক্রি হচ্ছে ৪৩০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। এছাড়া মালটা ৪০০ টাকা, কমলালেবু ২৮০ থেকে ৩০০, আপেল ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

ফল ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘এখন বাজারে সব ফলের দাম একটু বেশি। রমজানের আগে আঙুর ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এখন ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।’

এদিকে দাম বেশি হওয়ায় ফলের বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও কম। খুচরা থেকে পাইকারি সব বাজারেই অন্যান্য বছরের চেয়ে কয়েকগুণ ক্রেতা কমেছে। সরকারকে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয়ের কথা কথা বলেন ক্রেতারা।

ক্রেতারা বলেন, ‘বাজারে তো খেজুর কেনার মতো অবস্থা নেই। যে দাম ঠিক করে দেয়া হয়েছে সে দামেও খেজুর পাওয়া যাচ্ছে না। আর অন্যান্য ফলের দামও বেশি।’

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি মাসের ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যেই নতুন ফলের চালান আসবে। এরপর বাজারে মালটাসহ অন্যান্য ফলের দর কিছুটা কমবে।’

এদিকে আমদানি শুল্ক না কমলে সারা বছরই ফলের দাম বেশি থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।