শুল্ক ও মাদক ইস্যুতে ট্রাম্প-ট্রুডোর ৫০ মিনিটের ফোনালাপ

শুল্ক ও মাদক ইস্যুতে ৫০ মিনিটের ফোনালাপ ট্রাম্প-ট্রুডোর | এখন
0

পারস্পরিক শুল্কারোপের হুমকির মধ্যে ৫০ মিনিট ফোনালাপ করেছেন মার্কিন ও কানাডীয় সরকার প্রধান। এসময় ভয়াবহ মাদক ফেন্টানিলের প্রবাহ বন্ধ করতে না পারায় ট্রুডোর ওপর অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এদিকে মেক্সিকো ও কানাডার গাড়ির ওপর আমদানি শুল্ক এক মাস পিছিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

আগামী ৪ঠা এপ্রিল থেকে মেক্সিকো, কানাডা ও চীনা পণ্যে আমদানি শুল্ক কার্যকর করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তিন দেশের চুক্তি- ইউএসএমসিএয়ের আওতায় মেক্সিকো ও কানাডার গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর শুল্ক কার্যকর হবে আরো একমাস পর। জেনারেল মোটরস, ফোর্ড ও স্টেলান্টিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনালাপের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

হোয়াইট হাউসের ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘আমরা তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি। ইউএসএমসিএয়ের মাধ্যমে যে গাড়ি যুক্তরাষ্ট্রে আসছে, তাদের আরো একমাসের জন্য শুল্ক ছাড় দেয়া হচ্ছে। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে পারস্পরিক শুল্ক কার্যকর হতে যাচ্ছে এপ্রিলের দুই তারিখ থেকে।’

এদিকে পারস্পরিক শুল্কারোপের হুমকির মধ্যে ফোনালাপ করেছেন মার্কিন ও কানাডিয়ান সরকার প্রধান। ৫০ মিনিটের এই ফোনালাপে ভয়াবহ মাদক ফেন্টানিলের প্রবাহ বন্ধ করতে না পারায় ট্রুডোর ওপর অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হবার মাধ্যমে কানাডার জনগণ উপকৃত হবে বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘ট্রুডোকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, বর্তমান কার্যক্রমে তিনি সন্তুষ্ট নন। এটি যথেষ্ট নয়। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে এটি সরাসরি বলা হয়েছে। ট্রাম্পের বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হবার মাধ্যমে কানাডা উপকৃত হবে। শুল্ক বাতিলের পাশাপাশি তাদের কর কম দিতে হবে। এতে মহান রাষ্ট্র গঠিত হবে।’

শুল্কারোপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তে বিকল্প বাণিজ্য অংশীদার খুঁজতে পারে মেক্সিকো। তবে মার্কিনদের আগ্রাসী পদক্ষেপ কার্যকর করা হলে পাল্টা জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

মেক্সিকো প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবম বলেন, ‘প্রয়োজন পড়লে আমরা বাণিজ্যিক অংশীদার খুঁজবো। সার্বভৌমত্ব ও আত্মমর্যাদার কাঠামোর মধ্যে মেক্সিকানদের রক্ষায় আমরা সবকিছু করতে প্রস্তুত। শুল্কারোপ কার্যকর হলে হয়তো স্বল্প মেয়াদে আমাদের মূল্যস্ফীতি বাড়বে। তবে আমরা কাউকে ছেড়ে কথা বলবো না।’

এদিকে ফেন্টালিনের সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। তবে একে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ইএ