একইস্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দেখা মেলে সাগর কন্যা কুয়াকাটায়। এছাড়াও প্রাকৃতির অপার সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে এখানকার পরতে পরতে।
জাহাজমারা সমুদ্রসৈকত, সোনারচর, ফাতরা বনাঞ্চল, সুন্দরবনসহ সাগরের বুকে জেগে ওঠা চরবিজয় সম্ভাবনাময় পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে। যে কারণে প্রতিনিয়তই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই অঞ্চল।
পর্যটনের পাশাপাশি বাণিজ্যিক দিক থেকেও গুরুত্ব বাড়ছে পটুয়াখালীর। পায়রা সমুদ্রবন্দর, নৌ ঘাঁটি, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং পদ্মা সেতু চালুর পর বিনিয়োগ বাড়ছে এই অঞ্চলে। এবার শুরু হচ্ছে বিমানবন্দর নির্মাণের কার্যক্রম। কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়ন এবং পার্শ্ববর্তী আমতলীর অংশবিশেষে ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও দুই কিলোমিটার প্রস্থের বিমানবন্দর নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাই ও জমি অধিগ্রহণের প্রাথমিক কাজ চলছে।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, 'কমপক্ষে ৩ হাজার একর জমি প্রাথমিক পর্যায়ে অধিগ্রহণ করা হবে। এরমধ্যে খাস জমির পরিমাণই বেশি এবং মানুষের বাড়িঘর কম। সে দিক বিবেচনা করে আমাদের এ জায়গাটা উপযুক্ত মনে হয়েছে।'
বিমানবন্দরের জন্য স্থান নির্ধারণে গেল বছরের মার্চে আট সদস্যের কমিটি গঠন করে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন কমিটির সদস্যরা।
বাংলাদেশ বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, 'রিপোর্ট দেখে যদি সরকার এখানে বিমানবন্দর নির্মাণের প্রয়োজন মনে করে তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের বদৌলতে পটুয়াখালীতে এরইমধ্যে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে বিভিন্ন শিল্পোন্নত দেশ। সড়ক পথের সক্ষমতার পাশাপাশি আকাশপথেও যোগাযোগ স্থাপন হলে পটুয়াখালী হবে দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক করিডোর।