উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, জেগে উঠা সব প্রশ্ন পেছনে ফেলে রওনা হলেন খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপার্সনের এই সফর প্রত্যাশিত, ত্যাগের।
গনতন্ত্রের জন্য তার আপোষহীন মনোভাব এনে দিয়েছে ঐক্য। যার বহিঃপ্রকাশ তার বাসভবনের সামনে নেতাকর্মীর এই ঢল। বরাবর মতো এবারও তার পাশে পুত্র বধু প্রয়াত ছেলে কোকোর স্ত্রী।
খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান দলের শীর্ষ নেতারা। ছবি : এখন টিভি
বাসভবন ফিরোজা থেকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে তার গাড়ি বহর যাত্রা শুরু করে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, চেয়ারপারসন'স সিকিউরিটি ফোর্সসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় বহর ধীরে এগিয়ে যায় সামনে। সড়কের দুইপাশের হাজার হাজার অপেক্ষমান নেতাকর্মীদের যেন এক অনান্য উপলক্ষ্য। এক নজর দেখার অপেক্ষার অবসান হয় অনেকের।
জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা উড়িয়ে। স্লোগান আর মিছিলে উচ্ছ্বাস ঢেলেছেন সড়ক জুড়ে। সোড়া ৮টায় যাত্রা করা বহর গুলশান-২ গোল চত্ত্বর, বনানী, কাকলী গোল চত্ত্বর, খিলক্ষেত পার হয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছায় রাত সাড়ে ১১ টায়।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে গুলশানে চেয়ারপার্সনের বাসভবনের সামনে। দাবি করেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এত বছর আটকে ছিল তার বিদেশ যাত্রা।
আগামীকাল (বুধবার, ৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় লন্ডনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিমানের। যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর সরাসরি তাঁকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হবে।
নানা শারীরিক জটিলতা, জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণ কাটিয়ে অবশেষে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা। তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গনতন্ত্রের লড়াই করতে আবার দেশে ফিরবেন এমনটাই প্রত্যাশা বিএনপির নেতাকর্মীদের।