পরিষেবা
অর্থনীতি
0

এক থেকে দেড় বছরে হতে পারে বগুড়া বিমানবন্দর, দরকার অর্থ বরাদ্দ

প্রায় দুই যুগ পর আলোর মুখ দেখার প্রক্রিয়ায় লাল ফাইলে বন্দি বগুড়া বিমানবন্দর প্রকল্প। অর্থ বরাদ্দ পেলে মাত্র এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই বিমানবন্দরে উন্নীত করা সম্ভব বললেন বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। প্রথম ধাপে রানওয়ে সম্প্রসারণ করা হবে ছয় হাজার ফিট পর্যন্ত।

চার হাজার ৭০০ ফুট দৈর্ঘ্যের রানওয়ে, পূর্ণাঙ্গ কন্ট্রোল টাওয়ার আর টার্মিনাল ভবন আছে বগুড়া এয়ারফিল্ডের। ২০০০ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও এখান থেকে ওড়েনি কোনো বাণিজ্যিক বিমান।

পরে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২০০১ সালে বিমান বাহিনীর অধীনে দিয়ে দেয়া হয় এই এয়ার ফিল্ডটিকে। তারপর থেকে বিমান বাহিনীর পাইলট ট্রেনিংয়ের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

যদিও গত সরকারের সময়ে এটিকে বিমানবন্দরে উন্নীত করতে একাধিক উদ্যোগ নেয়া হলেও রাজনৈতিক কারণেই আটকে গেছে বারবার। পট পরিবর্তনের পর ফের শুরু হয়েছে প্রায় দুই যুগ অবহেলায় পরে থাকা এয়ার ফিল্ডটিতে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের প্রক্রিয়া।

আজ (রোববার, ১২ জানুয়ারি) সকালে বিমান বাহিনীর প্রধান ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ারফিল্ডটি পরিদর্শনে আসেন। তাদের সামনে তুলে ধরা হয় বর্তমান রানওয়ের অবস্থা। আর বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের উপযোগী করার পরিকল্পনা।

এর পর গণমাধ্যমে বিমান বাহিনী প্রধান জানান, এয়ার ফিল্ডটিকে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলে উপযোগী করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রথম ধাপে রানওয়ে সম্প্রসারণ করা হবে ৬ হাজার ফুট পর্যন্ত।’

বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বলেন, 'এটা অলরেডি একটা এয়ার ফিল্ড। শুধু রানওয়ের লেনটা ছোট। আমরা ইচ্ছা করলে এখনো ছোট বিমান নামাতে পারি। দ্রুত আমার যেটা দরকার সেটা হচ্ছে রানওয়ে রিকার্পেটিং করা। রানওয়ে যেটা আছে সেটাকে ব্যবহারযোগ্য করে তুলবো আমরা। তারপর এক্সটেনশন হচ্ছে বড় একটা ব্যাপার। ব্যবহারযোগ্য করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। এবং ইনশাআল্লাহ দ্রুতই এটা শুরু করবো।'

এয়ার ফিল্ডটিকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালুর উপযোগী করতে কত সময় লাগবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে এয়ার চিফ জানান, অর্থ বরাদ্দ পেলে মাত্র এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই বিমানবন্দরে উন্নীত করা সম্ভব।

হাসান মাহমুদ খাঁন বলেন, 'এটাকে যদি আমরা বড় বিমানের লেভেলে আনতে যাই, তাহলে ৮ হাজার ফুট রানওয়ে লাগবে। এবং আরো বড় আনলে ১০ হাজার ফুট রানওয়ে লাগবে। সেজন্য ওইগুলো পরের কথা। ৬ হাজার ফুট রানওয়ে করতে আমরা যদি ফান্ডিং এবং সরকারের অনুমোদন পাই, তাহলে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেও করা সম্ভব।'

আশা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই এয়ার ফিল্ডটির রানওয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এসএস