টানা কয়েকদিন থেকে তীব্র শীতের কবলে উত্তরের জেলা দিনাজপুর। আজও জেলাটিতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষরা। তীব্র শীতে ব্যহত হচ্ছে এ অঞ্চলের বোরো রোপণ।
মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়। রবিবার(২৮ জানুয়ারি) জেলায় ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তবে, একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়ে ৬.৮ ডিগ্রি হলেও ঠান্ডার তীব্রতা কমেনি। মাঘের শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। অনেকেই দিনের বেলাতেও আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
কনকনে ঠান্ডায় পঞ্চগড়ের হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগীর চাপ। এছাড়া এখন পর্যন্ত ফসলের তেমন ক্ষতি না হলেও কুয়াশা অব্যাহত থাকলে ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কা আলু ও বীজতলার।
তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে ভোর থেকে কুড়িগ্রামের ওএমএসের ডিলারদের দোকানে ভিড় করেন নিম্ন আয়ের মানুষ। কমদামে চাল, আটা কিনতে লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ অপেক্ষা তাদের। এখন নিম্নআয়ের মানুষের জন্য কার্ড দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর।
এদিকে, শৈত্যপ্রবাহের কারণে ১১ দিন বন্ধ থাকার পর কুড়িগ্রামের মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খুলেছে। তবে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় এখনও প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠদান শুরু হয়নি।
উত্তরের আরেক জেলা নীলফামারীতে শৈত্যপ্রবাহ চললেও সূর্যের দেখা পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে। তবে হিমেল বাতাসের কারণে দুর্ভোগ খুব একটা কমেনি। শীতের কারণে জেলার প্রাথমিক পর্যায়ের বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও পাঠদান চলছে মাধ্যমিক পর্যায়ে।
এদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় আরও নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। জেলায় আজ তাপমাত্রা ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে, ৮ দিন পর আজ স্কুল খোলার কথা থাকলেও তাপমাত্রার উন্নতি না হওয়ায় নতুন করে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন নির্দেশনা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। তবে, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাও স্বীকার করেন কিছুটা সমন্বয়হীনতার কারণেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
আবহাওয়া অফিস তথ্যানুযায়ী আরও ৩ দিন থাকতে পারে এমন আবহাওয়া। তবে, রাতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।