চট্টগ্রামের পাহাড়তলী পাইকারি বাজারে দিন দশেক আগেও মোটা চাল বিক্রি হয়েছিলো বস্তাপ্রতি ২ হাজার ৪শ' টাকা। যা এখন বাজারে ২৫শ' টাকা।
এছাড়া বস্তাপ্রতি মিনিকেট ২ হাজার ৬০০ টাকা, জিরাশাইল ৩ হাজার ৫০ থেকে ৩ হাজার ৩৫০ টাকা, নাজির শাইল ৩ হাজার ৫৫০, কাটারি আতপ ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি বেড়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। কেজিপ্রতি যা দুই টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
চট্টগ্রামে বস্তাপ্রতি চালের দর
ব্যবসায়ীরা বলেন, 'বাজার সবসময় ওঠানামা করে। অনেক সময় আবহাওয়ার কারণে ধান শুকানো না গেলে পর্যাপ্ত আসে না। তাই ধানের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়ে যায়। আর ধানের দাম বাড়লে চালের দাম বাড়বেই। বাজারে চালের কোন ঘাটতি নেই। তবে দাম হটাৎ করে বেড়ে গেছে। এটা মিল মালিকরাই ভালো বলতে পারবে।'
মাঠ থেকে মাত্র এক মাস আগে আমন ধান উঠেছে। এই সময়টাতে চালের দাম কমার কথা থাকলেও বাজারের চিত্র পুরোই উল্টো। ব্যবসায়ীরা বলছেন বড় মিল মালিকরা চালের সরবরাহ কমিয়ে দেয়ায় দামে প্রভাব পড়েছে। এক্ষেত্রে মিল মালিকদের তাদের দাবি ধানের দাম বাড়ায় চালের দামও বাড়ছে।
পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম নিজাম উদ্দিন বলেন, 'ধানের দাম বেড়ে গেছে সেজন্য অটোমিল মালিকরা সরবরাহ কম করছে। আমরা অনুমান করছি চালের দাম আরও বাড়তে পারে। ফুড এন্ড লাইসেন্সের আওতাভুক্ত সবাইকে যদি নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় তাহলে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। নয়তো কিছুদিনের ভেতর চালের বাজার খুব বেশি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।'
এমন অবস্থায় চালের দাম নিয়ন্ত্রণে ফুড গ্রেইন লাইসেন্স তদারকির পাশাপাশি মজুতদার সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার দাবি তাদের।