তবে ২০২৩ সালে বিপত্তি বাধে। হজ প্যাকেজে অস্বাভাবিক খরচ বাড়ায় আগ্রহ হারান যাত্রীরা। ৯ দফায় নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ হয়নি। তাই ২০২৪ সালে সরকারিতে ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা ও বেসরকারিতে ৮৩ হাজার ২০০ টাকা কমিয়ে ঘোষণা করা হয় হজের প্যাকেজ। তাতেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। উল্টো গতবারের পথেই হাঁটছে নিবন্ধন প্রক্রিয়া। এখন পর্যন্ত দু'দফায় সময় বাড়িয়েও কোটার ১ লাখ বাকি। অথচ প্রাক নিবন্ধনকারীর সংখ্যা ১ লাখ ২৪ হাজারের ওপর।
আগে যেখানে প্রাক নিবন্ধন করে হজে যেতে এক থেকে দুই বছর অপেক্ষা করতে হতো। এখন সেখানে আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে নিবন্ধনের সুযোগ দিয়েও সাড়া মিলছে না।
আল নাফি ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি, মার্চ মাসে হাজিদের নিবন্ধন শুরু হতো। এ বছর একটু আগেই শুরু হয়েছে। তবে হাজিরা শেষভাগেই বেশি নিবন্ধন করেন।’
খরচ বাড়ায় হজ সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই হজের থেকে তিনগুণ কম খরচে ওমরাহকে বেছে নিচ্ছেন অনেকে।
ঢাকা ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের এমডি কাজী মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘এক লাখ ৫০ হাজার টাকায় একজন হজ যাত্রী ১০ দিনের প্যাকেজ নিয়ে ভালোভাবে ওমরাহ পালন করতে পারেন। যে কারণে মানুষের সামর্থ্য না থাকায় হজ থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।’
এদিকে এবার হজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এনেছে সৌদি সরকার । অন্য বছর হজ চুক্তির পর নিবন্ধন শুরু হলেও এবার চুক্তির আগেই শেষ করতে হবে নিবন্ধন। প্রতি বছর হজের নিবন্ধন ফেব্রুয়ারি-মার্চে শুরু হলেও এবার মাস চারেক আগেই শুরু হয়েছে। ৮ জানুয়ারি সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের হজ চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও সে সময় পর্যন্ত কোটার ৫০ ভাগ পূরণ নিয়ে আছে শঙ্কা। এমন অবস্থায় হজ যাত্রীদের দ্রুত নিবন্ধন করার আহ্বান জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দর বলেন, ‘হজ যাত্রীদের বলতে চাই এবার দেরি না করে দ্রুত নিবন্ধন শেষ করুন।’
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৪ সালের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ থেকে এবার হজে যেতে পারবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন।