খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দা এখন একদফা দাবির কেন্দ্রবিন্দু। অনশনে ৩২ কুয়েট শিক্ষার্থী।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হওয়া অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ২ শিক্ষার্থীকে। এছাড়াও অসুস্থজনিত কারণে বাড়ি পাঠানো হয়েছে আরও ২ অনশনকারীকে। তবুও উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অনড় শিক্ষার্থীরা।
দাবি আদায়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলে ভিসির পদত্যাগসহ নানা দাবিতে শ্লোগান তোলেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলেও, দায় স্বীকার করছেন না উপাচার্য। এছাড়া, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলায় ইন্ধনসহ আরও অভিযোগ তোলা হয় তার বিরুদ্ধে।
এদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে কুয়েট শিক্ষার্থীদের সাথে। তবে, বুধবার ইউজিসির প্রতিনিধি দল পাঠানোর খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য উপদেষ্টার মন্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনরতরা।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীদের উপর হামলার পর থেকে নানা দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে গত ১৩ এপ্রিল ক্যাম্পাসে ঢুকে হল খুলে দেওয়ার জন্য দাবি করলেও কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয়নি। তারপর থেকে শিক্ষার্থীদের দেওয়া ৬ দফা দাবি পরিণত হয় ভিসি বিরোধী আন্দোলনে।