হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আটটি ফ্লাইট ঢাকায় নামতে না পেরে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পাশাপাশি আটকা পরে ঢাকাগামী চারটি ফ্লাইট।
আটটির মধ্যে দুটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। অপর ছয়টির একটি ব্যাংকক থেকে, আরেকটি মধ্যপ্রাচ্য থেকে ঢাকায় অবতরণ করার কথা ছিল। এসব ফ্লাইটের প্রায় এক হাজার ৩০০ যাত্রী প্রথমে রানওয়েতে তারপর ওয়েটিং লাউঞ্জে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে।
এছাড়া অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে সময়মতো ঢাকায় যেতে না পেরে টিকেট বাতিল করেন কেউ কেউ। কেউবা অপেক্ষা করেন সাত থেকে আট ঘণ্টা। এর মধ্যে যেসব ফ্লাইট ঢাকা হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিলো সেসবের কয়েকটির শিডিউল দেয়া হয়েছে কয়েকদিন পর। দীর্ঘ অপেক্ষার শেষ হয় রাত ৯টার পরে। শাহজালালে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে শুরু হয় আটকে পড়া ফ্লাইটগুলোর উড্ডয়ন। তবে অনেকেই টিকেট বাতিল করায় রিফান্ড পেতে দুর্ভোগে পড়েন।
আরও পড়ুন:
এদিকে, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অচল অবস্থা দেখা দিলেও রাত ৯টা ২২ মিনিটে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশ্যে সিলেট বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এছাড়া সিঙ্গাপুর ও রিয়াদ থেকে আসা দুটি ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করে। রাত ১০টার পরপর ফ্লাইট দুটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
পাশাপাশি একে একে ঢাকার উদ্দেশ্যে উড়াল দেয় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলোও। এর আগে, বিকেল ও সন্ধ্যায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে রিয়াদ থেকে আসা বাংলাদেশ বিমান, সিঙ্গাপুর ও মালে থেকে আসা আন্তর্জাতিক তিনটি ফ্লাইট।
এছাড়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে দুপুরের পর আর কোন বিমান আসেনি। এরপর ছয় ঘণ্টা পর রাত ৯টা ৯ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় একটি ফ্লাইট।
এদিকে ঢাকায় অপেক্ষমাণ থাকা পাঁচটি ফ্লাইটের মধ্যে দুটির যাত্রা বাতিল করা হয়। বাকি তিনটি রাত এগারোটার পর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছে এবং পর্যায়ক্রমে ছেড়ে যায়। এরমধ্যেই ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়া যাত্রীদের অনেকেই টিকিট বাতিল করেন। বাতিল হওয়া বিমানের যাত্রীদের সমন্বয় করে পরে ঢাকায় পাঠায় এয়ারলাইন্সগুলো।





