কাজ চলছে জুলাই বিপ্লবে শহীদ মুগ্ধের প্রতীকী পানির বোতলের। প্রায় শেষ '৩৬ জুলাই' টাইপোগ্রাফি স্ট্রাকচারের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ব্যস্ততা চলছে নববর্ষকে বরণ করে নেবার।
পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ উদযাপনে চারুকলার শোভাযাত্রার নামে এসেছে পরিবর্তন। নাম দেওয়া হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। শুক্রবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “নাম পরিবর্তন নয়, বরং শোভাযাত্রাকে তার প্রাচীন ঐতিহ্যে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে চারুকলা অনুষদের ডিন জানান, এ বছরের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। শোভাযাত্রায় প্রাধান্য পাবে জুলাই অভ্যুত্থান।
জানানো হয়, এবারের শোভাযাত্রায় থাকছে ছোট বড় মাঝারি মোট ২১টি মোটিফ। এর মধ্যে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, কাঠের বাঘ, ইলিশ, শান্তি পায়রা ও পালকির থাকছে বড় মোটিফ।
আরও থাকছে জুলাই বিপ্লবের অনুপ্রেরণায় তৈরি প্রতীকী মুগ্ধের পানির বোতল। ৩৬ জুলাই লেখা টাইপোগ্রাফি এবং ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ৮০টি। এছাড়াও ফিলিস্তিনের পতাকার সাথে মিল রেখে থাকবে তরমুজ।
এছাড়াও গ্রামীণ লোকজ চিত্র ও মোটিফ দেখা যাবে শোভাযাত্রায়। নববর্ষের দিন, সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেট্রোরেলের শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।
আয়োজকেরা জানান, এবারের বর্ষবরণ শোভাযাত্রা হবে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড়, বর্ণাঢ্য ও জমকালো। এতে বাঙালিসহ মোট ২৮টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নেবে, যা শোভাযাত্রায় বৈচিত্র্য ও ঐক্যের বার্তা বহন করবে।