গাজা ও রাফায় চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি। আজ (মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজু ভাস্কর্যমুখী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মিছিল। দুপুরে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে পুরো প্রাঙ্গন।
মজলুমদের পক্ষে শুরু হয় প্রতিবাদি স্লোগান। হাতে দেশের জাতীয় পতাকার পাশাপাশি ছিলো ফিলিস্তিনের পতাকাও। কণ্ঠে ইসরাইলের প্রতি তীব্র নিন্দা। তাদের চাওয়া দ্রুত বন্ধ করা হোক বর্বরোচিত গণহত্যা।
ছাত্রদলের একজন নেতা বলেন, ‘মুসলিম বিশ্বের যে সংস্থাগুলো আছে, তাদের কোনো জোর প্রতিবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না।’
উপস্থিত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা শুরুতে প্রতিবাদ জানিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে গাজার পক্ষে থাকার আহ্বান জানান। নারী ও শিশুদের অন্যায়ভাবে হত্যাকে স্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন। সেইসাথে প্রতিবাদ করতে গিয়ে মব জাস্টিস থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান।
শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ইসরাইলের বিষয়ে জাতিসংঘের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।’
গণহত্যা ও হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ জারি রাখার আহ্বান জানান তিনি। সেই সাথে মুসলিম বিশ্বের মোড়লদের প্রতি ব্যবস্থা নেয়ার জোরালো দাবি জানান।
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, ‘আমরা ইসরাইলের পণ্য বর্জন করবো কিন্তু কারো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা নয়।’
এর আগে আলাদা কর্মসূচিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘মানবতাবিরোধী যেকোনো দেশ জাতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সব সময় অবস্থান নেবে। ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলনে নেমে যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করেছে, তারা মানবতার পক্ষের অবস্থানকে কলঙ্কিত করেছে।’
শিগগিরই গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিএনপির সারাদেশে বৃহৎ কর্মসূচির ঘোষণা করার কথা জানানো হয়।