
মার্চ ফর গাজার ঘোষণাপত্রে কী আছে
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো জনতার উপস্থিতিতে শেষ হয়েছে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। আজ (শনিবার, ১২ এপ্রিল) বিকেলে ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে আজকের মতো শেষ হয় কর্মসূচি। আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এ ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

সোহরাওয়ার্দীতে লাখো জনতার সমাবেশ: ইসরাইলের সঙ্গে মুসলিম বিশ্বের সব সম্পর্ক ছিন্নের দাবি
মানুষ মানুষের জন্য এক কাতারে দাঁড়ালো। মানুষের বিপদের পরিত্রাণ চেয়ে কাঁদলো। যেখানে নেই দলমত-মতভেদ, নেই ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য। সবার পরিচয় বাংলাদেশি। সবার উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনের মানুষের ওপর ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ হোক। সবার একটাই চাওয়া নিরস্ত্র-নিরীহ মানুষের ওপর চালানো আগ্রাসনের বিচার। সেই দাবিতেই সবাই আজ সমবেত হলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

বিভিন্ন জেলায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের কয়েকটি জেলায়। স্লোগানে বক্তৃতায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় বিক্ষুব্ধরা। ইসরাইলি পণ্য বয়কটসহ গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয় কর্মসূচি থেকে।

‘গাজায় গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ জানাবে বিএনপি’
গাজায় গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বের মোড়লদের দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানালেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, গাজায় গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ জানাবে বিএনপি। তবে প্রতিবাদের নামে দেশে কেউ যেন মব সৃষ্টি না করতে পারে সে ব্যাপারে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এসময় ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, ইসরাইলকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে সংগঠনটি।

চোখের সামনে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে গাজা উপত্যকা
চোখের সামনে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে গাজা উপত্যকা। ভয়াবহ এমন পরিস্থিতি দেখেও টনক নড়ছে না মুসলিম বিশ্বের। এদিকে, গাজাকে শেষ করার মিশনে নেমেছে ইসরাইল। এতে ইন্ধন জোগাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নেতারা। উপত্যকার ৯০ শতাংশ মানুষ এরইমধ্যে তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে। যারা বেঁচে আছে তারাও তীব্র খাদ্য সংকট ও বোমার আতঙ্কে দিন পার করছে। গাজার ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।

মুসলিম বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে শুরু হয়েছে রমজান
গাজার ধ্বংসস্তূপে স্বজনহারা ফিলিস্তিনিরা বুকে পাথর বেঁধে পবিত্র রমজানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করলেও সীমান্তের ওপারে মিশরে দৃশ্যপট ভিন্ন। মুসলিম বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে শুরু হয়ে গেছে সিয়াম সাধনার মাস। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে তারাবির নামাজ আদায় এবং শেষ প্রহরে সেহরি খেয়ে রোজা শুরু করেছেন কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলিম।