বাজারে ভরপুর শীতকালীন সবজি। নেই সরবরাহ সংকটও। কিন্তু দাম এখনও কমেনি সেই তুলনায়।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে আকার ভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৮০-১২০ টাকা, শীম মানভেদে কেজিপ্রতি ৬০-৮০ টাকা, পটল ১০০-১২০ টাকা, টমেটো ৬০-৮০ টাকা, বেগুন ৬০-১০০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা।
সবজির দাম আরও সহনীয় চান ভোক্তারা। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ সপ্তাহে ক্রেতার সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনি বেচাকেনাও।
ক্রেতারা জানান, বাজার ঘুরে শীতকালীন সবজির কমতি দেখা না গেলেও দাম অনেক বেশি।
কারওয়ান বাজারে সব ধরনের মাছের দাম কিছুটা বেড়ে কেজিতে অন্তত ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। রুই মাছ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা, কাতল ৪০০-৬০০ টাকা, কই ২২০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০-২২০ টাকা, চিংড়ি ৭০০-১৭৫০ টাকা, আইর মাছ ১১০০-১৫০০ টাকা, ইলিশ ১৪শ' থেকে ১৮শ' ও পাবদা ৪০০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতে মাছের সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়ায় বেড়েছে দাম।
তবে ক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় মাছের দাম বেশি। আবার বিক্রেতারা জানান, যান চলাচল কম থাকায় মাছের দাম একটু বেশি।
এছাড়া বাজারে নতুন আলু এলেও দাম সেভাবে কমেনি। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৭০ টাকা পর্যন্ত। পেঁয়াজের দামও রয়েছে কেজিতে ৭০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত।
কারওয়ান বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে বেঁধে দেয়া ৬৫০ টাকা কেজিতেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় খুব একটা মুনাফা করতে পারছেন না তারা। তবে বিক্রি আগের চেয়ে বেড়েছে।
খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১শ' টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দামও রয়েছে আগের মতোই। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকা, সোনালি ২০০-৩১০ টাকা আর দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা।