কাঁচাবাজার
বাজার
0

বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে বেড়েছে মুরগির দাম

মাত্র তিন থেকে চার দিনের ব্যবধানে মানিকগঞ্জে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায় এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায়। এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়ার কারণে মাংসের বাজারে এই অবস্থা।

শহরের নিমতলী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কিছুদিন আগেও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকায়, যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১০ টাকায়। সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা। বর্তমানে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজি।

অন্যদিকে পৌরসভার ভুল জয়রা মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরু ও খাসির মাংসের দাম এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায় এবং খাসির মাংস ১,১০০ টাকায়।

শহরের নিমতলী বাজার, পৌর কাঁচাবাজারসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ দোকানে মুরগির সরবরাহ কম।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পাইকারি বাজার থেকেই তারা চড়া দামে মুরগি কিনছেন। এ কারণে খুচরা পর্যায়ে দাম বেশি রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। কিছু বিক্রেতা আবার অভিযোগ করেছেন যে, খামার মালিকরা ইচ্ছাকৃতভাবে সরবরাহ কমিয়ে দিচ্ছেন।

শহরের নিমতলী বাজারের মাংস বিক্রেতা জনি বলেন, ‘পাইকারি বাজারে মুরগির দাম বেড়েছে। যার কারণে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম যখন আবার কমবে তখন আমরাও কম দামে মুরগির মাংস বিক্রি করতে পারবো।’

আরেক বিক্রেতা জনি বলেন, ‘গেল কয়েকদিন ধরে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কম। যার কারণে দাম বেড়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে দাম আরও বাড়তে পারে।’

বাজারে মুরগির দামের এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য এই দাম বড় ধরনের চাপ তৈরি করছে।

ক্রেতা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে এই মুরগি কিনেছি ১৮০ টাকা কেজিতে। আজ এসে শুনি ২১০ টাকা। সর্বশেষ ২০৫ টাকা করে দুই কেজি কিনলাম।’

আরেক ক্রেতা সাবিনা আক্তার বলেন, ‘বাজার মনিটরিং নেই বলেই ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছেন। নিয়মিত বাজার মনিটরিং হলে এমন অবস্থা হতো না।’

জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. মোরশেদ আল মাহমুদ জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে আমরা সবজি, মাছ ও মাংসের বাজারে প্রতিনিয়ত তদারকি করছি। শীতে ব্রয়লারের প্রডাকশন কম থাকায় বাজারে সরবরাহ কম। তবে, আমরা বাজার দর স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।

ইএ