বাজার
0

বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সদিচ্ছা আছে

রোববার বিকেলে হঠাৎ সচিবালয়ে একে একে আসলেন সরকারের অর্থ, বাণিজ্য, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা। সবশেষ যোগ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও

নতুন মন্ত্রিসভা- কিন্তু সবার সামনে একটাই চ্যালেঞ্জ বাজার স্বাভাবিক রাখা। হুটহাট বেড়ে যাচ্ছে চালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দর। কয়েকদিন ধরে নানাভাবে সরকারি সংস্থাগুলো চেষ্টা করলেও বাজারে তেমন প্রভাব পড়ছে না- এপবার সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জরুরি বৈঠক করলেন ৫ মন্ত্রী ও গভর্নর।

রোববার বিকেলে হঠাৎ সচিবালয়ে একে একে আসলেন সরকারের অর্থ, বাণিজ্য, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা। সবশেষ যোগ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও। প্রায় দুই ঘণ্টার জরুরি বৈঠকজুড়ে ছিল বাজার নিয়ন্ত্রণের কৌশল নিয়ে আলোচনা।

গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন মন্ত্রীরা। আলোচনার সারাংশ জানান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের সদিচ্ছা আছে, সেই লক্ষ্যেই আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, 'আন্তঃমন্ত্রনালয়ের যে বৈঠক হয়েছে এইটিই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের সদিচ্ছার প্রকাশ। মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যাদি ক্রয় ক্ষমতার ও সহজলভ্য হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।'

এসময় অর্থমন্ত্রীকে ঊর্ধ্বমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণে কোন কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাজারে কোন পণ্যের ঘাটতি নেই। মূল্য নিয়ন্ত্রণে দরকার হলে কঠোর হবে সরকার। তবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার মতো অবস্থা এখনও তৈরি হয়নি।

এছাড়াও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, 'সরকার এই বিষয়ে অবগত আছে। আর যেভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যায় সরকার সেভাবেই কাজ করবে।'

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ডলার স্বল্পতার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি সেই আশঙ্কা নাকচ করে দিয়ে বলেন, রমজানের জরুরি পণ্য আমদানিতে এবার এলসি খোলার হার বেড়েছে গতবারের তুলনায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি।

'দেশে ডলার সংকট নেই। গত অর্থবছরের তুলনায় এ বছর রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলার হার বেড়েছে ১০-১৫ শতাংশ', বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর রউফ তালুকদার

এমন বৈঠক বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণে ভালো বার্তাই নিয়ে আসবেন বলে মনে করছেন মন্ত্রীরা। সাথে তারা এও জানান, মূল্য নিয়ন্ত্রণের এই উদ্যোগ শুধু রমজান নয় বরং সব সময়ের জন্যই ভোক্তাদের স্বস্তি দিবে।