ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই কারণে অকারণে প্রায় প্রতিনিয়তই আন্তর্জাতিক খবরের শিরোনাম হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নানা নাটকীয়তায় মাতিয়ে রেখেছেন শ্রোতা-দর্শকদের।
এরই ধারাবাহিকায় বুধবার আরও একটি বোমা ফাটালেন ট্রাম্প। ইচ্ছে প্রকাশ করেন, গাজা উপত্যকা তার কব্জায় নেয়ার। এ বিষয়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও আলাপচারিতা শেষ করেছেন তিনি।
ট্রাম্পের এ দিবা স্বপ্ন কখনও পূরণ হওয়ার নয়। এ নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। সেখানে বলা হয়, ট্রাম্পের গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের জর্ডান ও মিশরে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব আরব দেশগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে। এছাড়া তার এ পরিকল্পনার সমালোচনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প কীভাবে তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন তা নিয়ে আলোচনা এখন নানা মহলে।
ফিলিস্তিন দখলে নিতে ট্রাম্প যখন দাবার চালে ব্যস্ত তখন খোলা আকাশে গোত্তা খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক। মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতাধর দেশ সৌদি আরবও রয়েছে দোটানায়। স্বার্থ রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে পাশে চান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ফিলিস্তিন সংকটকে পাশ কাটিয়ে দোস্তি করতে চান ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর সঙ্গেও। কারণ প্রতিরক্ষা বিভাগকে সমৃদ্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ চায় সৌদি আরব। ঢুকতে চায় মার্কিন নিরাপত্তা বলয়ে।
এছাড়া ইসরাইলের সঙ্গে তেল বাণিজ্য শুরু করতে চায় আরব দেশের কাণ্ডারি সৌদি আরব । তবে নিন্দুকের সমালোচনার তোপে মুখ খুলে কিছু বলতে না পারলেও ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে গোপনে ওয়াশিংটনের মধ্যস্ততায় চেষ্টা চালাচ্ছে রিয়াদ।
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বিপদে রয়েছে জর্ডান ও মিশরও। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থের ওপর নির্ভরশীল এ দুই দেশের অর্থনীতি। তারা যদি মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবে রাজি না হয়, পরবর্তীতে আর্থিকভাবে বেশ চাপে পড়তে হবে দেশ দুটিকে।