কোথায় নেই ট্রাম্প! আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া, প্রায় সব জায়গায় টক অফ দ্য টপিক ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের খবর।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বিশ্ববাসী দেখেছে ট্রাম্প ম্যাজিক। রেকর্ড সংখ্যক নির্বাহী আদেশ জারির পর আগামীতে কী কী পদক্ষেপ নেবেন ক্ষমতাধর ট্রাম্প সেদিকে চেয়ে আছে বিশ্ববাসী।
বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের শাসনামলে দুই মেরুতে পৌঁছেছে ওয়াশিংটন-মস্কো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক। ভ্লাদিমির পুতিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুসম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন থাকলেও আগামীতে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে অনিশ্চিয়তায় খোদ রুশ নাগরিকরা।
বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান থেকে ট্রাম্পের অবস্থান ভিন্ন। আমার মতে ট্রাম্প নিজ দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রস্তুত। ট্রাম্পের নীতির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের একা ছেড়ে দেবে।
আপনার কি মনে হয় কেউ শক্তিশালী রাশিয়ায় আগ্রহী? কেউ শক্তিশালী রাশিয়ায় আগ্রহী নয়, কারণ এটি কেউই চায় না।
ট্রাম্পের আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গি তার প্রথম প্রেসিডেন্সি থেকেই মিত্রদের কাছে পরিচিত। তবে ইউরোপের জন্য এখন আসল সমস্যা হলো অনিশ্চয়তা। কোথাও কেবলই হুমকি, আবার কোথাও কার্যকর পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি। যদিও ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে শঙ্কিত জার্মানরা।
একজন জানান, আমি সত্যি বলতে আমেরিকান জনগণকে বুঝতে পারছি না, আপনি কীভাবে ট্রাম্পকে ভোট দিতে পারেন, যদিও এটা প্রত্যেকের নিজস্ব বিষয়।
আরেকজন বলেন, ‘ইউরোপকে আরও শক্তিশালী হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র আ মাদের সেরা বন্ধু নয়, এখন ইউরোপকে আরও শক্তিশালী হতে হবে।’
এদিকে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন ব্রিটিশরা। বহির্বিশ্বে মিত্রের ভূমিকা পালন করবেন ট্রাম্প, এমনটাই প্রত্যাশা তাদের। যদিও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অনেকের মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ।
এক ব্রিটিশ নাগরিক বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পের একজন বড় ভক্ত, কারণ তিনি প্রয়োজনে সাহসী সিদ্ধান্ত নেন। ভবিষ্যতে কী ঘটবে তা বলা কঠিন। তবে আমার মনে হয়, ভবিষ্যতে এটি যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের জন্য ভালো হবে।’
আরেকজন বলেন, ‘আমি জলবায়ু নিয়ে সত্যিই চিন্তিত। মনে হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমানের কথা ভাবছেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে নয়। আমি তার সব কাজ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। দেখার বিষয় মার্কিন নাগরিকদের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়ন হয় ‘
এদিকে, ট্রাম্পের শাসনামল নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ফরাসি নাগরিকরা। বাণিজ্য, অভিবাসন, অতিরিক্ত শুল্কারোপের ফলে ইউরোপে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন ফরাসিরা।
দেশটির এক অধিবাসী জানান, আমাদের ইউরোপীয়দের জন্য এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। ইউরোপে আরও ঐক্যের প্রয়োজন। এটিই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে, ফ্রান্সের পাশাপাশি ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের খবর বেশ ঘটা করেই প্রচার করেছে ইতালির গণমাধ্যম। টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে হেডলাইনেও ছিল ট্রাম্পের রাজকীয় প্রত্যাবর্তনের খবর।