উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

ট্রাম্পের গ্রহণের পরই বিশ্ব নেতাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র পেয়েছে নতুন প্রেসিডেন্ট। তাই তার শপথ গ্রহণের পরই বিশ্ব নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কোন কোন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা ট্রাম্পের নীতিতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় জর্জরিত আবার কেউ কেউ ভাসাচ্ছেন উষ্ণ অভ্যর্থনায়।

অভিবাসন নীতিতে কঠোর পদক্ষেপ ও পানামা খাল দখলের ইস্যুতে ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই সমালোচনার মুখে মার্কিন নব নিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে যেমন উষ্ণ অভ্যর্থনা পাচ্ছেন তেমনি মিলছে নিন্দাও।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণের পরই কালক্ষেপণ না করে অবৈধ অভিবাসীর ঠেকাতে নতুন করে নির্বাহী আদেশ সই করেন ট্রাম্প। মেক্সিকো সীমান্তে জারি করেন জরুরি অবস্থা।

এর প্রতিক্রিয়ায় মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তড়িঘড়ি না করে আপাতত শান্ত থেকে পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে দুদেশের সুসম্পর্ক জোরদারের কথা জানান।

ট্রাম্পের পানামা খাল দখলে নেয়ার হুমকির কঠিন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেয়া এক ক্ষুদে বার্তায় তিনি বলেন, বিশ্বের কোন দেশেই পানামার ওপর নজর দেয়নি, ব্যতিক্রম শুধু যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে মদদ পাওয়া বিভিন্ন দেশের প্রধানরা স্বাগত জানাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান আর তার প্রতিরোধ অক্ষকে শেষ করতে ইসরাইল–যুক্তরাষ্ট্র সখ্যতা এবার অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।

ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পকে অভিনন্দন । আজকে থেকে নতুন আশার আলোর সূচনা হলো। ট্রাম্প সবসময় শান্তির পথে হাঁটেন। আমেরিকা তাদের প্রত্যাশিত নেতা পেয়েছেন। ট্রাম্পের হাত ধরে আগামী দিনে দেশটি আরও শক্তিশালী হবে।’

সামরিক সহায়তা পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে রাখা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও স্বাগত জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, পরমাণু অস্ত্র আর ইউক্রেনে সেনা অভিযানের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করতে চান তিনি।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘ট্রাম্প অনেক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন মানুষ ইউক্রেনের জন্য আরও সুযোগ বাড়বে বলে প্রত্যাশা। আশা করছি ট্রাম্প ও মার্কিনরা সফলতার পথে হাঁটছে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমেরিকার সঙ্গে এক হয়ে কাজ করতে চাই।’

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য ও রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন ট্রাম্প। ধারণা করছি, রাশিয়ার দিকটা বোধগম্য হবে ট্রাম্পের। ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেয়ার বিষয়টি মেনে নিবেন না তিনি।’

এদিকে বন্ধু ট্রাম্পকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভ্যর্থনায় ভাসিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুদেশের স্বার্থে পুনরায় এক হয়ে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

নানান সমালোচনা থাকলেও ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়েছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ঐতিহাসিক এই অংশীদারিত্বকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানেজ।

ইএ