বছরের প্রথম শীতকালীন ঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৩০টির বেশি অঙ্গরাজ্য। ওয়াশিংটন, কেন্টাকি, মিসৌরি, কানসাস, মেরিল্যান্ড ও ভার্জিনিয়াসহ সাতটি অঙ্গরাজ্যে বিরাজ করছে জরুরি অবস্থা। ইলিনয় থেকে আটলান্টিক উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত অংশে ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে হচ্ছে বৃষ্টি। সাদা বরফে ছেয়ে আছে পুরো এলাকা। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তাপমাত্রা নেমেছে মাইনাস ১৫ থেকে মাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
ওহাইও উপত্যকার কিছু অংশে এক ফুট উচ্চতার তুষারপাত হয়েছে। এছাড়া ওয়াশিংটন ডিসি, মেরিল্যান্ড ও ভার্জিনিয়ার আশেপাশের অঞ্চলে ছয় থেকে ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত বরফ জমেছে। তীব্র ঠান্ডার মধ্যে বাসিন্দারা বাইরে বের হতে পারছেন না। তুষার ঝড়ের কবলে পড়া অঙ্গরাজ্যগুলোর শত শত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
শীতকালীন ঝড়ে হতাহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বৈরি আবহাওয়ায় ভার্জিনিয়া, মিসৌরি, কানসাস, টেক্সাসসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের হাইওয়েতে হাজারের ওপর সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।
এদিকে তীব্র তুষারপাতে যুক্তরাজ্যজুড়ে বিপর্যয়ে পড়েছে ট্রেন চলাচল। ব্রিটেনের জাতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেড়শতাধিক অঞ্চলে তুষারপাত, বরফ ও বৃষ্টিতে দেখা দিয়েছে বন্যা। বাতিল করা হয়েছে কয়েক ডজন ট্রেনের শিডিউল। মহাসড়কে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল।
স্থানীয় একজন বলেন, 'বরফে প্রতিদিনই মানুষজন দুর্ঘটনায় পড়ছে। ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছি।'
যুক্তরাজ্যের স্থানীয় একজন বলেন, 'আমরা এখন কোথাও যেতেও পারছি না। অফিসে যেতেও আমাদের অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে।'
প্রবল বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে বন্যার পানি। আটকা পড়েছেন শত শত বাসিন্দা।