প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রতিক্রিয়ায় চীনসহ শক্তিধর দেশগুলো উল্টো যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের উপর বাড়তি শুল্ক বসিয়েছে। এতেই টালমাটাল যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজার। বিনিয়োগকারীরা ভয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যে ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্কারোপের প্রভাবে পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দরপতন দেখছে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার। মার্কিন শেয়ারবাজারের এমন ধ্বসে বেশি ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় রয়েছেন ফেসবুক এবং মেটার প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। ছোট-বড় সব বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারানোর আতঙ্কে আছেন।
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘বিভিন্ন কোম্পানির দাম পড়ে গেছে। এতে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।’
এদিকে তৈরি পোশাক ছাড়াও দেশীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্যের উপর নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা বাংলাদেশিরা। যার উপর ভিত্তি করে অনেক গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। চলমান পরিস্থিতিতে পণ্যের দাম বাড়লে জীবযাত্রার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কায় সময় পার করছেন তারা।
একজন প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, ‘অনেককিছুই বাংলাদেশ থেকে এখানে আনতে হয়, তারপর সেগুলো আমরা সেখান থেকে ক্রয় করতে পারি। তবে এই শুল্ক বাড়ানোর কারণে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা পণ্য বাংলাদেশ থেকে এখানে আনতে চাইবে না।’
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যযুদ্ধে জড়ানো ঠিক হবে না বলে মত বাংলাদেশি অভিবাসীদের। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পরামর্শ তাদের।
আরেকজন প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, ‘ট্রাম্প একটি বিকল্প প্রস্তাবও দিয়েছেন যে আমেরিকার যেসব পণ্য অন্য দেশে যায় সেগুলোর ওপর ঐদেশগুলো যদি শুল্ক কমায় তাহলে এখানেও শুল্ক কমাবে।’
বর্তমান সংটময় পরিস্থিতি বিবেচনায় ট্রাম্প শুল্কনীতি শিথিলের পথে না এগোলে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বৈশ্বিক অর্থনীতি বড় ধরনের মন্দার মুখোমুখী হবে বলে শঙ্কা অনেকের।