ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউজের অফিশিয়াল অ্যাড্রেস ১৬০০ পেনসিলভেনিয়া অ্যাভিনিউ। একইভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে হোয়াইট হাউজ যাবার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হয় পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্য। যে প্রার্থী ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেটটিতে জয় পান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে তার জয়ের সম্ভাবনা থাকে ৯০ শতাংশ।
তাই পেনসিলভেনিয়ায় বেশ জোরেসোরেই প্রচারণা চালাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত (বুধবার, ৯ অক্টোবর) এক নির্বাচনী সভায় রিপাবলিকান প্রার্থী অভিযোগ করেন, ইসরাইলে ৭ অক্টোবরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান কামালা। তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলে পুতিন ইউক্রেনে অভিযান চালানোর সাহস পেতেন না বলেও দাবি করেন ট্রাম্প।
রিপাবলিকান পার্টি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘অক্টোবরের ৭ তারিখের দিকে তাকালে বুঝতে পারবেন, কামালা ইসরাইলিদের গণহত্যার পরিবর্তন চান না। ইউক্রেন যুদ্ধে কয়েক মিলিয়ন মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী দুর্বল বাইডেন প্রশাসন। আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে পুতিন কখনোই ইউক্রেনে যেতে পারতেন না।’
এদিকে একই অঙ্গরাজ্যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্মস্থান স্ক্র্যান্টনে আরেক জনসভায় কামালাকে খারাপ মানুষ হিসেবে সম্বোধন করেন ট্রাম্প। এসময় তাচ্ছিল্য করেন সাম্প্রতিক জনসভায় কামলার জড়তা নিয়েও।
রিপাবলিকান পার্টি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘তার টেলি প্রম্পটার বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। তিনি সম্ভবত বলতে যাচ্ছিলেন নির্বাচনের ৩২ দিন বাকি। এসময় তিনি ৩২ ছাড়া ভয়ে কিছুই বলতে পারছিলেন না। ভাগ্য ভালো, টেলি প্রম্পটার ঠিক হয়েছিলো। ঠিক না হলে হয়তো লাফ দিয়ে মঞ্চ থেকে পালিয়ে যেতেন তিনি।’
বাইডেনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর মাত্র আড়াই মাসে ১শ কোটি ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছে হ্যারিস-ওয়ালজ প্রচারণা শিবির। রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর ক্যাম্পেইনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। অবিশ্বাস্য গতিতে তহবিল সংগ্রহের মাঝেই হাওয়ার্ড স্টার্ন শোতে সাক্ষাৎকার দেন কামালা। অঙ্গীকার করেন, জয় পেলে তার প্রশাসনে নিয়োগ দেবেন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান বাতিল করতে চান বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে বেআইনি তল্লাশি ও আটকের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। পঞ্চম সংশোধনীতে অধিকার দেয়া হয়েছে চুপ থাকার স্বাধীনতার। একজন আইনজীবী নিয়োগের অধিকার দেয়া হয়েছে ষষ্ঠ সংশোধনীতে। আর তিনি এই সংবিধানই বাতিল করতে চান।’
এদিকে কামলা হ্যারিসের জন্য প্রচার চালাতে জর্জিয়ায় পৌঁছেছেন অস্কারজয়ী মার্কিন অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টস।