থাকলেও ইসরাইলে যেকোনো মূল্যে হামলা চালাবে ইরান। এ অবস্থায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তেহরান ইসরাইলকে পরবর্তী কোন পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগই দেবে না।
তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া আর বৈরুতে হিজবুল্লাহ'র কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরকে হত্যার পর ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। সংবাদমাধ্যম আরটি বলছে, সোমবারই ইহুদি রাষ্ট্রটিতে হামলা চালাতে পারে ইরান। ইসরাইলসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই অঞ্চলে আরও সেনাবাহিনী ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ বলছে, ইরানের যেকোনো ধরনের হুমকি ও হামলার জবাব দিতে ইসরাইলকে প্রস্তুত হতে সহযোগিতা করছে ওয়াশিংটন।
এদিকে, হানিয়ার মৃত্যু কেন্দ্র করে চলমান উত্তেজনায় পুরোপুরি স্থগিত হয়ে পড়েছে যুদ্ধবিরতির আলোচনা। গাজার শরণার্থী শিবিরগুলোতে পুরোদমে চলছে ইসরাইলি আগ্রাসন। এরমধ্যেই ইসরাইল সীমান্তে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলা হয়েছে, ইরান, হিজবুল্লাহ আর হুতি, যেকোনো পক্ষ থেকে হামলা হতে পারে ইসরাইলে। অপরদিকে, সংবাদ মাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইহুদি রাষ্ট্রটি যদি হামলার শিকার হয়, সেক্ষেত্রে জেরুজালেমে স্থাপন করা বাঙ্কারে থেকেই কাজ করবেন রাজনৈতিক নেতারা। যদিও নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের যেকোনো হামলার কড়া জবাব দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত তেল আবিব।
এদিকে, ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসমাইল হানিয়া আর ফুয়াদ শুকুরকে হত্যার অপরাধে ইসরাইলে যেকোনো মূল্যে হামলা চালাবে ইরান। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উত্তেজনা নিরসনে জর্ডান ও লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানে গিয়েছিলেন। কিন্তু আরব প্রতিনিধিদের ইরান জানিয়েছে, ইসরাইলে হামলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, এতে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লেও তেহরানের কিছু করার নেই।
এই যখন অবস্থা, তখন ইরানের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নতুন সংকটের মধ্যে পড়েছে তেল আবিব। ইসরাইলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামরিক সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে ইরান, যা এই অঞ্চলের অস্থিতিশীলতাকে বাড়িয়ে তুলবে।
এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসিস জানায়, সোমবারই ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে ইরান। তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে হিজবুল্লাহ। এক্সিওসিস বলছে, এপ্রিলে যেভাবে ইসরাইলে রকেট হামলা চালিয়েছিল ইরান, ঠিক একই উপায়ে এবারও হামলা চালানো হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ইসরাইল।