উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাপক ধরপাকড়

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ। ধরপাকড় চালানোয় আরও প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। জোরালো হচ্ছে গাজার নিরীহ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন। এমনকি গাজায় চলমান আগ্রাসন থেকে বিশ্বের যেসব প্রতিষ্ঠান লাভবান হচ্ছে তাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সম্পর্ক থাকলে তা ছিন্ন করারও দাবি তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।

স্লোগানে স্লোগানে ইসরাইলি বর্বরতা থেকে গাজার নিরীহ ফিলিস্তিনিদের মুক্তির দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন দমনে ধড়পাকড় চালাচ্ছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত কয়েকশ বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে কলম্বিয়া, ইয়েল, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির মতো বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন।

এ অবস্থায় দিন যতই গড়াচ্ছে, ততই ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভের উত্তাপ। ইসরাইলবিরোধী অবস্থান জোরালো করতে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে অবস্থান নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে আক্রমণাত্মক আচরণ করে পুলিশ উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের একজন বলেন, তারা আক্রমণাত্মক আচরণ করছে। শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদের সময় শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে আগ্রাসী হয়ে ওঠা দখলদারের প্রতি সমর্থনের অংশ।

আরেকজন বলেন, প্রতিবাদকারীরা অনেক অবিশ্বাসী। যতো ঝুঁকিই আসুক কোনোভাবেই আমাদের পিছু হটাতে পারবে না। দমন-পীড়নের মধ্যেও প্রতিবাদ চলবে।

পরিস্থিতি এমন উত্তপ্ত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেক বিক্ষোভকারি। তাদের দাবি, শুরু থেকেই একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চেয়েছিলেন তারা। যা একটি সম্প্রদায়ের সমাবেশের মতো ছিল।

ইসরাইলকে সুবিধা দেয়া কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও অংশীদারিত্ব সম্পর্ক থাকলে তা ছিন্ন করার জন্যও আওয়াজ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। এরজন্য নিউ ইয়র্কের কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে গণভোটের মাধ্যমে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী এ দাবি জানান। যেখানে বোয়িং, এলবিট সিস্টেম এবং লকহিড মার্টিনসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়। যাদের বিরুদ্ধে হামাস-ইসরইল যুদ্ধ থেকে লাভবান হওয়ার অভিযোগ তোলা হয়।

তারা বলেন, আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় তার আর্থিক সম্পদ প্রকাশ করুক। ইসরাইল সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক থাকলে, সেখান থেকে সরে আসুক। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনকে স্বীকৃতি দেবে এবং স্বীকার করবে যে গাজায় গণহত্যা চলছে। যা বন্ধ করা দরকার।

এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ। কোনোভাবেই যাতে এই আন্দোলন থেকে ইহুদি বিদ্বেষ না ছাড়ায় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছে মার্কিন প্রশাসন। যে কারণে সশরীরে ক্লাস নেয়া আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যায়সহ আরও বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এসএসএস