বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে টানটান উত্তেজনার অবসান হলো। বাণিজ্যিক মহাকাশ গবেষণায় ঐতিহাসিক এক ক্ষণের সাক্ষী হলো বিশ্ব।
টেক্সাসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইনটুইটিভ মেশিনসের মহাকাশযানটি বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধ্বের কাছে সফল অবতরণ করে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৫২ বছর পর চাদেঁর পৃষ্ঠ স্পর্শ করে দেশটি। একইসঙ্গে প্রথমবার কোন চন্দ্রজয় অভিযানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটায় এককভাবে নাম লিখিয়ে অর্জনের খাতা ভারি করলো বেসরকারি খাত।
ফ্লোরিডা থেকে রওনা দেয়ার এক সপ্তাহ পর, তিন লাখ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠ স্পর্শ করে ছয় পায়ের রোবট ল্যান্ডার ওডিসিয়াস। স্বয়ংক্রিয় পরিচালনা ব্যবস্থায় বিঘ্নের কারণে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১১ ঘণ্টা পরে সম্পন্ন হয় সফল অবতরণ। এ ঘটনা সরাসরি সম্প্রচারের সক্ষমতা নেই রোবটটির।
চাঁদের পৃষ্ঠ পরীক্ষা, আবহাওয়ার তথ্য সংগ্রহ এবং বেতার তরঙ্গ পরিমাপে নাসার দেয়া ছয়টি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র রয়েছে রোবটটির সঙ্গে। চলতি দশকের শেষে চাঁদে আবারও নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা সামনে রেখেই চাঁদের পরিবেশগত বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে চায় নাসা। শেষবার ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৭ অভিযানে চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছিল নাসা।
নাসার উপ-সহযোগী প্রশাসক জোয়েল কার্নস বলেন, ‘নভোচারীদের জন্য ভবিষ্যতে চাঁদে পানির ব্যবস্থা কী হবে, একে শ্বাসযোগ্য অক্সিজেন কিংবা রকেটের জ্বালানিতে পরিণত করা যাবে কিনা, এগুলো বুঝতে চাই আমরা। তবে সবচেয়ে জরুরি যে, চাঁদে যে পানি আছে তার উৎস কী।’
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণে এলাকায় সূর্য অস্ত যাওয়ার আগ পর্যন্ত সৌরশক্তিতে আগামী ৭ দিন কাজ করবে রোবটটি।