২০২৫ সালের মধ্যে অ্যামাজনের ৮শ' কোটি ডলার মূল্যের ৫ কোটি শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনায় এগুচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান জেফ বেজোস। এরইমধ্যে দুই দফায় ৪শ'কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার বিক্রি করেছে মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন। ২০২১ সালের পর এবারই প্রথম কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করেছেন মার্কিন ধনকুবের।
যে শেয়ারগুলোর ওপর ভর করে তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ব্যক্তির স্থান দখল করে বসে আছেন, সেসব শেয়ারই নগদায়ন করছেন জেফ বেজোস। তবে হঠাৎ করে কি কারণে শেয়ার বিক্রির গতি বাড়ালেন তিনি? এর উত্তরে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা যায়- কারণ ওয়াশিংটন রাজ্যের মতো শেয়ার বিক্রি বা বিনিয়োগ থেকে হওয়া লাভের উপর ৭ শতাংশ কর দেয়ার বিধান নেই ফ্লোরিডায়।
এর আগে ওয়াশিংটনে থাকাকালে শেয়ার বিক্রি ও অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ থেকে আয় হওয়া ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার থেকে বড় অংকের কর গুণতে হয় জেফ বেজোসকে। সেই হিসেবে যদি ওয়াশিংটনের সিয়াটল থেকে ৪শ' কোটি ডলারের শেয়ার বিক্রি করতেন, তাহলেও সেখান থেকে তার থাকতো ২৮ কোটি ডলার।
অ্যামাজন শেয়ার বিক্রির ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন- নিঃসন্দেহে ইলন মাস্কের মোট সম্পদের ব্যবধান টপকাতে মনোযোগী হয়ে উঠেছেন জেফ বেজোস। এর মধ্য দিয়ে শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হিসেবে হারানো মুকুট আবারও নিজের করে পেতে চান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা। ঠিক যেমনি বিল গেটসকে ছাড়িয়ে ২০১৭ সালে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির খেতাব অর্জন করেছিলেন এই ধনকুবের।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষে থাকা ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ২০ হাজার কোটি ডলারের উপরে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জেফ বেজোসের মোট সম্পদ ১৯ হাজার কোটি ডলারের কিছু বেশি। অর্থাৎ দুই মার্কিন ধনকুবেরের সম্পদের ব্যবধান অন্তত এক হাজার কোটি ডলার।