যুদ্ধে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় বিমান ও বোমা হামলার সঙ্গে বড় আকারে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এবার আর্টিলারি কামান দিয়ে সীমান্ত এলাকা থেকে গাজার দিকে গোলা ছুড়ছে তারা। গাজার অভ্যন্তরে আবাসিক অঞ্চলেও চলছে ইসরাইলিদের বিধ্বংসী অভিযান।
গেল শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ বহু মানুষ। ভাষণে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে অনাস্থা জানিয়ে নেতানিয়াহু জানান, হামাস এবং ইরানের অক্ষশক্তিগুলো গোটা বিশ্বকে অশান্ত করে তুলেছে। তার এ বক্তব্যকে উস্কানিমূলক বলে মন্তব্য করেন মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ।
এদিকে ফিলিস্তিনের সমর্থনে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভে নেমেছে শত শত মানুষ। লিভারপুলে ব্রিটেনের লেবার পার্টির বার্ষিক সম্মেলনের বাইরে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে বিক্ষোভ করেন অনেকে। এসময় বেশ কয়েকজন সমর্থককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
ইসরাইলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের দাবিতে জার্মানির বার্লিন শহরে বিক্ষোভে নামে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। এসময় তারা ইসরাইলকে বয়কট করার ডাক দেয়। ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলতে জার্মান সরকারের প্রতি দাবি জানায় বিক্ষোভকারী।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের জন্য একবিন্দু নিরাপদ স্থান নেই। সংস্থার প্রধান জানান, গাজা উপত্যকা এখন পুরোপুরি নরকে পরিণত হয়েছে।
এদিকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ এবং জিম্মিদের দ্রুত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে ইসরাইলেও। তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিক্ষোভ করেন শত শত ইসরাইলি। তাদের অভিযোগ, নেতানিয়াহু সরকার জিম্মিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই ব্যর্থতা ঢাকতে গাজা যুদ্ধকে দীর্ঘায়ত করছে।





