গেল এপ্রিলে পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে তলানিতে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। যার প্রভাব দেখা গেছে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনও। ভারত পাকিস্তান দুই দেশের প্রতিনিধিরাই নিজেদের বক্তব্যে তুলোধুনো করেছে একে অপরকে।
গত (শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল বলে আখ্যা দেন। সরাসরি নাম না বললেও জানান, তাদের পার্শ্ববর্তী একটি দেশ রয়েছে , যেখান থেকে দশকের পর দশক ধরে বড় বড় সন্ত্রাসী হামলা সংঘটিত হয়েছে । দেশটি সন্ত্রাসবাদের বিচার না করে, তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে বলেও অভিযোগ তুলেন তিনি। এসময়, তার বক্তব্যে উঠে আসে পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ।
ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারত তাদের দেশের জনগণের সুরক্ষায় সন্ত্রাসবাদের বিচার করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে ভারত সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করে আসছে। দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে যেসকল ভারতীয়রা রয়েছে তাদের রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মোদি সরকার।’
আরও পড়ুন:
এর আগে গত শুক্রবারের অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের ভাষণেও উঠে আসে পেহেলগাম প্রসঙ্গ। জানান, বিনা উস্কানিতে পাকিস্তানের মাটিতে হামলা চালায় ভারত। তবে তার দেশের সেনাবাহিনী পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতার সঙ্গে ভারতকে মোকাবিলা করেছে বলে জানান তিনি। এ সংঘাতে নিজেদের জয়ী বলে দাবি করেন শেহবাজ শরীফ।
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেন, ‘ভারত রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে আমাদের দেশের বেসামারিক মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে। যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা থাকলেও, আমরা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হই। আমি সংঘাত থামাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
তবে বিরোধ ভুলে নয়াদিল্লীর সঙ্গে অমীমাংসিত ইস্যুগুলোতে আলোচনার জন্য ইসলামাবাদ প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
গেল এপ্রিলে ভারতের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় পর্যটক নিহতের জেরে অপারেশন সিঁদুর নামে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করে ভারত। পাল্টা অভিযান চালায় পাকিস্তানও। চারদিনের সংঘাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় ভারত-পাকিস্তান।





