মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

গাজায় হাসপাতাল থেকে রোগীদের বের করে জিজ্ঞাসাবাদের অভিযোগ

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সদস্যরা রয়েছেন, এমন দাবি করে গাজার উত্তরে একটি হাসপাতাল থেকে রোগীদের বের করে জিজ্ঞাসাবাদের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি হাসপাতাল থেকে তাদের বের করে দিয়ে আগুনও ধরিয়ে দিয়েছে আইডিএফ। শহরের আরেকটি হাসপাতালেও শুরু হয়েছে অভিযান। উপত্যকায় চলমান এই আগ্রাসনে শনিবার একদিনেই ইসরাইলি বর্বরতায় প্রাণ গেছে ৪৮ ফিলিস্তিনির। এদিকে জোরালো হচ্ছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ।

ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনে আহত হয়ে আসা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা হতো গাজার উত্তরের এই কামাল আদওয়ান হাসপাতালে। অথচ শুক্রবার বেইত লাহিয়ার এই হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে অসুস্থ রোগী আর হাসপাতাল কর্মীসহ অন্তত ২৪০ জনকে বন্দি করেছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। অসুস্থ অবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের রেখে গেছে খোলা আকাশের নিচেই।

সাধারণ ফিলিস্তিনিরা জানান, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে হামলা করেছে। এরপর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে একাংশে।

আইডিএফ প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, এই হাসপাতালের আশপাশ থেকে সমরাস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। যদিও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস বলছে, এই হাসপাতাল বা তার আশপাশে কোনো কার্যক্রম ছিল না তাদের। কিন্তু এ অভিযানের কারণে মানবেতর পরিস্থিতিতে পড়ে গেছে রোগীরা। এ হাসপাতালের পরিচালক শুক্রবার থেকেই নিখোঁজ।

এদিকে গাজার উত্তরে ইসরাইলি বর্বরতা বাড়ছেই। একদিনে উপত্যকায় হতাহত হয়েছেন অনেকেই। পশ্চিমতীরেও সমানে আগ্রাসন চালাচ্ছে আইডিএফ। ইসরাইলি বিমানবাহিনী বলছে, গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে আসা দুটি রকেট ভূপাতিত করেছে তারা।

গাজায় কোনোভাবে বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু আগ্রাসন বন্ধ না করায় তার প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে দেশের সাধারণ মানুষের। শনিবার হাজার হাজার ইসরাইলি নেমেছেন তেল আবিবের রাস্তায় ডেমোক্রেসি স্কয়ারে। দাবি জানাচ্ছেন গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে বন্দিদের মুক্ত করে আনার।

এদিকে, লেবাননের হিজবুল্লাহ'র সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে তুমুল সংঘাত চলছে আইডিএফ'এর। হুথিদের দাবি, আল বায়দা প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্রের এমকিউ নাইন ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে এখন পর্যন্ত ১৩ টি আকাশযান ধ্বংস করলো হুথিরা।

তবে ইয়েমেনে ইসরাইলের অতর্কিত বিমান হামলার ভয়াবহতা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে প্রত্যক্ষদর্শীদের। তারা বলছেন, এই হামলায় আতঙ্কে পড়ে গেছে পুরো ইয়েমেন। সানা বিমানবন্দর দিয়ে বিমান চলাচল শুরু হলেও ইসরাইল আবারও হামলা করবে না, এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সানা বিমানবন্দর, লোহিত সাগরের হোদেইদাহ সমুদ্র বন্দর, একটি জ্বালানি তেল ক্ষেত্র ও একটি পাওয়ার প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। মৃত্যু হয় ৬ ইয়েমেনির।

এএম