মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

গাজা-ইসরাইল ইস্যুতে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র-কাতার-মিশরের প্রতিনিধি

গেল কিছুদিন ধরেই অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বাহিনী হামলা জোরদার করায় বিপর্যস্ত হয়েছে গোটা উপত্যকা। দুই সপ্তাহে গাজার আট স্কুলে হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। এরমধ্যেই গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আগামী সপ্তাহে কায়রোতে আবার আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের প্রতিনিধিরা। এদিকে, ইসরাইলে হামলা চালানোর সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। এতে, মার্কিন কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তেল আবিবে হামলা হলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে তেহরানকে। এ অবস্থায় ইসরাইলকে নিরাপত্তা দিতে মধ্যপ্রাচ্যে অত্যাধুনিক 'এফ টোয়েন্টি টু' যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বারবার যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় গেল কিছুদিন ধরেই গাজা উপত্যকার বেসামরিক স্থানে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরাইল। বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে হামলা জোরালো করেছে আইডিএফ। এরমধ্যেই যুদ্ধবিরতি কার্যকরে আবারও আলোচনায় বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতার। এরইমধ্যে তিন দেশের মধ্যস্থতায় আগামী ১৫ আগস্ট কায়রোয় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নিতে হামাস ও ইসরাইলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি আলোচনা হবে ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তির বিষয়েও। তিন দেশের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসার প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। জানান, দ্রুতই তেল আবিব থেকে প্রতিনিধি পাঠানো হবে কায়রোতে।

একদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে জোর তৎপরতা চালালেও ইরানের হামলা প্রতিহত করতে ইসরাইলকে অত্যাধুনিক 'এফ টোয়েন্টি টু' যুদ্ধবিমান সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলছে, ইসরাইলে হামলা হলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে ইরানকে। তবে, সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যু নিয়ে যে প্রতিশোধের আগুন ইরানে জ্বলছে, তাতে তড়িঘড়ি করবে না ইরান। কারণ মুসলিম রাষ্ট্রগুলো হানিয়ার মৃত্যুর নিন্দা জানালেও তেহরানকে সহযোগিতার কথা কেউ বলেনি। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ওআইসি ইরানকে এই অঞ্চলে অস্থিরতা তৈরি করা থেকে বিরত রাখবে।

গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সংঘাতে মৃতের সংখ্যা যখন ৪০ হাজার ছুঁইছুঁই, তখন মধ্যপ্রাচ্যেও বাড়ছে অস্থিতিশীলতা। আতঙ্কে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে তেল আবিবে বিমান চলাচল স্থগিত করেছে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স। হুথিদের সঙ্গে চলছে ইসরাইলের সংঘাত। লেবানন সীমান্তেও অব্যাহত রয়েছে হামলা, পাল্টা-হামলা। এরইমধ্যে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ইসরাইলে সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালানো হবে।

এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইরান ইসরাইলে হামলা না চালিয়ে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িতদের একজন একজন করে টার্গেট করবে। হানিয়ার হত্যার দায় ইসরাইল স্বীকার না করলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্যরাই হত্যা করেছে তাকে।

tech