২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে ইরানে হামাস নেতা এবং লেবাননে হিজবুল্লাহ নেতার হত্যার পর ক্ষোভে ফুঁসছে ইরান। যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যে। সংকট ঘনীভূত হয়েছে ইরান, ইসরাইল ও লেবানন সীমান্তে।
উপযুক্ত সময়ে ইসরাইলকে কঠিন শাস্তি দেয়া হবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে তেহরান। দেশটির ইসলামিক বিপ্লবী বাহিনী বলছে, নিজের কবর নিজেই খুঁড়েছে ইসরাইল। তাদের অভিযোগ মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে তুলতে ইসরাইল ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছে। এখন আরব রাষ্ট্রগুলোর পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছে ইরান।
চীনা বিশেষজ্ঞ লি শাওযান সতর্কবার্তা দিয়েছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিশোধের মাত্রা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় এবার অনেক বেশি হবে। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ আসন্ন।
নিংজিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চীন-আরব গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক লি শাওযান বলেন, 'ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিশোধ আসন্ন। এবারের আক্রমণের মাত্রা অনেক বড় হবে। এর পেছনে বেশ কয়েকটি ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে লেবানন থেকে মার্কিন ও ইউরোপীয় নাগরিকদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলও সতর্ক অবস্থানে।'
তার মতে, এই অঞ্চলে শিগগিরই উত্তেজনা পৌঁছাবে চরমে। জেরুজালেম দিবস ঘিরে আগামী ১১ থেকে ১২ আগস্টের মধ্যে হামলা চালাতে পারে ইরান। কারণ এই দুই দিন ইসরাইলিদের ধর্মীয় উৎসবের ছুটির দিন। সীমান্ত পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় চীনা নাগরিকদেরও সতর্ক করা হয়েছে লেবানন ভ্রমণে।'
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের বাসিন্দাদের এক সপ্তাহের পর্যাপ্ত খাবার ও পানি মজুত করতে বলেছে দেশটির সরকার। বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সংকট নিয়েও তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া, কয়েক লাখ বাসিন্দাদের আশ্রয়ের জন্য একটি মরুভূমি শহরও প্রস্তুত রেখেছে তেল আবিব।'
এদিকে, প্রতিশোধের আগুনে পুড়লেও মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ও আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব বাড়াতে রাজি না ইরান। এই অঞ্চলের অস্থিতিশীলতা নিরসনে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।